Uluberia Municipality: ক’দিন আগেই CBI তল্লাশি, তারপরই নকল চেক তৈরি করে ১৫ লক্ষ টাকা ‘গায়েব’!

Supradeep Mondal | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 07, 2023 | 5:27 PM

Uluberia Municipality: উলুবেড়িয়া পৌরসভার তরফে দাবি করা হয়, তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। নকল চেক তৈরি করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পৌরসভার দাবি,  ৯ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়।

Uluberia Municipality: কদিন আগেই CBI তল্লাশি, তারপরই নকল চেক তৈরি করে ১৫ লক্ষ টাকা গায়েব!
উলুবেড়িয়া পৌরসভা
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

উলুবেড়িয়া:  নকল চেক তৈরি করে পৌরসভার অ্যাকাউন্ট থেকেই ১৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশের একটি ব্যাঙ্ক থেকে টাকা উধাও। এই বিষয়ে উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগে দায়ের করে পৌরসভা। তবে এই বিষয়টি নিয়ে অন্য তত্ত্ব খাঁড়া করেছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, কোথাও কোনও টাকা উধাও হয়নি। আসলে দুর্নীতি হয়েছে। এখন টাকার হিসাব দিতে পারবে না বলে এরকম বলা হচ্ছে।  উল্লেখ্য, কয়েক দিন আগে উলুবেড়িয়া পৌরসভায় সিবিআই হানা দিয়েছিল। তার মধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় রহস্য দেখছেন বিরোধীরা।

উলুবেড়িয়া পৌরসভার তরফে দাবি করা হয়, তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে ১৫ লক্ষ টাকা উধাও হয়ে গিয়েছে। নকল চেক তৈরি করে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। পৌরসভার দাবি,  ৯ অক্টোবর থেকে ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়।  ১৫টি চেকের মাধ্যমে টাকা তোলা হয়েছে বলে পৌরসভার তরফে দাবি করা হয়েছে। ২ ডিসেম্বর উলুবেড়িয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় পৌরসভার তরফ থেকে। পৌরসভা দাবি, ৯০ হাজার, ৯৫ হাজার ১ লক্ষ টাকা করে কয়েক দফায় টাকা তোলা হয়েছে।

উলুবেড়িয়া পৌরসভার চেয়ারম্যান অভয় কুমার দাস বলেন, “এক্সিকিউটিভ অফিসার, ফিন্যান্স অফিসার দেখছে। এফআইআর করেছি। সাইবার ক্রাইম তদন্ত করছে। আশাবাদী কয়েকদিনের মধ্যেই এই রহস্যের উদঘাটন হবে। এ ব্যাপারে পৌরসভার কোনও দোষ নেই।”

এ বিষয়ে হাওড়া গ্রামীণ জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারীর বক্তব্য, “এটা একটা বানানো গল্প। পৌরসভায় কয়েকদিন আগেই সিবিআই তল্লাশি হয়েছে। ওরা এতো টাকা নয়ছয় করেছে, যে আর হিসাব মিলাতে পারছে না। এখন বলছে টাকা লুঠ হয়েছে। চেক কখনও নকল করা যায়। এটা একটা ফলস কেস।”

সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ আধিকারিকের বক্তব্য, “অ্যাকাউন্ট আমাদের ব্রাঞ্চের। উত্তরপ্রদেশে তিন থেকে চারটি সার্ভিস ব্রাঞ্চ রয়েছে। ওখান থেকে চেক ক্লিয়ারিং হয়েছে। অরিজিন্যাল চেক তো পৌরসভার কাছেই থাকবে। ওখান থেকে কে কীভাবে কপি করেছেন, জেরক্স করেছেন, সেটা পুলিশ দেখবে।”

Next Article