হাওড়া ও পশ্চিম মেদিনীপুর: বঙ্গে ফের বজ্রাঘাতে দুই জেলায় মৃত্যু হল দুই ব্যক্তির। বুধবার, বিকেলে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের পিংবনিতে বজ্রাঘাতে মারা যান যথাক্রমে উমেশ যাদব ও অজয় সরেন। লক্ষ্যণীয়, উভয়েই খোলা স্থানে নয়, বরং বদ্ধ জায়গাতেই ছিলেন। বুধবারের পর বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩৫।
হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটে বাজ পড়ে মৃত্য়ু হয় টোটোচালক উমেশ যাদবের। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উমেশ এদিন বিকেলে বৃষ্টিপাতের সময়ে আরও তিনজনের সঙ্গে গ্যারাজের মধ্যেই ছিলেন। সেইসময় আচমকা গ্যারাজের উপরেই বাজ পড়ে। ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান উমেশ। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
মৃত উমেশের এক বন্ধু সঞ্জীব কর্মকার বলেন, “ আমরা চার জন গ্যারাজে ছিলাম। উমেশ একটা টোটোর মধ্য়ে বসেছিল। গ্যারাজের ভিতর তখন জল জমেছিল। হঠাৎই বাজ পড়তে ও টোটো থেকে জলে পড়ে গেল। তারপর দেখি আর কোনও সাড়াশব্দ নেই।সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে গেলাম। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।” ওই গ্যারাজের মালিক পার্থ দাস জানান, এদিন, কয়েক সেকেন্ড অন্তর বাজ পড়ছিল। তিনি ওই গ্যারাজ থেকে ২০ ফুট দূরে নিজের দোতলা বাড়িতে ছিলেন। ওই সময় ভয়ঙ্কর শব্দে পরপর দু’টি বাজ পড়ে। এরপরই তিনি নীচ থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পান। দ্রুত নিচে এসে দেখেন তিনজন তাঁদের গেটের সামনে এসে দরজা খোলার জন্য চিৎকার করছেন। তাঁদের থেকেই জানতে পারেন ওই গ্যারাজে উমেশ মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরে গোয়ালতোড়ের পিংবনিতে, বছর পঁয়ত্রিশের অজয় সরেন বজ্রাঘাতে মারা যান। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অজয় বাড়িতেই ছিলেন। বাড়ির মধ্যেই বাজ পড়ে মারা গিয়েছেন তিনি। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে কেয়াকুল হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বঙ্গে বজ্রাঘাতে মৃত্য়ুর সংখ্য়া ক্রমবর্ধমান। বিশেষজ্ঞদের মতে, অত্যধিক দূষণ ও বিশ্ব উষ্ণায়ন এর কারণ। বজ্রবিপদ থেকে বাঁচতে গাছ লাগানোরই নিদান দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা। নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। জেলায় জেলায় প্রশাসনের তরফে চলছে সতর্কীকরণ প্রচার। রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া হচ্ছে ক্ষতিপূরণও।
আরও পড়ুন: মমতার নির্দেশকে বুড়ো আঙুল! স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকা সত্ত্বেও লম্বা বিল,কাঠগড়ায় বেসরকারি হাসপাতাল