হাওড়া: দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যে হু-হু করে বাড়ছে করোনা (Corona)। প্রতিদিন লাফিয়ে-লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। কলকাতার পাশাপাশি জেলাতেও পরিস্থিতি প্রায় এক। ছবি বদলায়নি একটুও। হাওড়ায় এবার করোনা আক্রান্ত একাধিক স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। দাপিয়ে বেড়েছে সংক্রমণ। ছাড় পাননি স্বাস্থ্য কর্মীরা। এবার করোনার দাপটে ভেঙে পড়তে বসেছে হাওড়া জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবা। এমনটাই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। এই মুহূর্তে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত। এদের মধ্যে আছে দুজন ডেপুটি সিএমওএইচ, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা। আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন, দুজন ডেপুটি সি এম ও এইচ ছাড়াও চিকিৎসক এবং নার্সরা কোবিডে আক্রান্ত। অন্যদিকে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপালের সুপার সহ ১২ জন আক্রান্ত। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সবরকম চেষ্টা করা হচ্ছে। জেলার সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতে চিকিৎসক,নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা আক্রান্ত। ফলে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়াটাই স্বাস্থ্য দফতরের কাছে এই মুহূর্তে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৮ জন। তার মধ্যে কলকাতায় সংখ্যাটা ২ হাজারের বেশি। এরপর রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। গত ২৪ গণ্টায় হাওড়ায় দৈনিক আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬৫ জন। এখনও পর্যন্ত জেলায় মোট মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৫৫১ জনের। দৈনিক সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২৪০ জন।
প্রসঙ্গত, শুধু হাওড়া নয়, হুগলিতেও কয়েকদিন আগে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। সেখানে পাণ্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের নার্সিং স্টাফ করোনায় আক্রান্ত । পাশাপাশি দ্বারবাসিনী স্বাস্থ্যকেন্দ্রের এক চিকিৎসক তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর মিলেছে। পান্ডুয়ায় পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের স্টাফ সুশান্ত গাঙ্গুলী তিনি জানান,পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালে জিএনএম নার্সিং স্টাফ তার জ্বর,সর্দি-কাশি হয়েছিল। পরে তাঁর র্যাপিড টেস্ট করা হয়। সেই টেস্ট রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে বলে খবর। পাশাপাশি তাঁর আরটিপিসিআর টেস্ট করা হবে। ইতিমধ্যেই তাঁকে হোম আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। দু’ঘণ্টা অন্তর তার অক্সিজেন চেক করা হচ্ছে। অক্সিজেন সিলিন্ডার বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে হাসপাতাল চালু রয়েছে। হাসপাতাল স্যানিটাইজ় করা হয়েছে। কিন্তু এখনই বলা সম্ভব নয় তিনি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। উচ্চপদস্থ আধিকারিক সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।তারা যা নির্দেশ দেবেন সেই মতো কাজ করা হবে।”
আরও পড়ুন: Covid Spike: এবার উত্তরবঙ্গ মেডিকেলে করোনার থাবা! ২৫ জন চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মী পজিটিভ