হাওড়া : আনিস খানের ভাইয়ের উপর এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয়েছে শুক্রবার রাতে। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু আট ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও উলুবেড়িয়া হাসপাতালে তাঁর সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, আনিস কাণ্ডে অন্যতম সাক্ষী এই সলমন খান। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন তিনি। কিন্তু সলমনকে যাঁরা গতরাতের ঘটনার পর উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তাঁদের অভিযোগ, আট ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরেও তাঁরা কোনও সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট হাতে পাননি।
এর ফলে সিটি স্ক্যানের রিপোর্টে কী রয়েছে, তা তাঁরা জানতে পারছেন না। এরপর কীভাবে চিকিৎসা হবে, সিটি স্ক্যানের পর এমআরআই করার দরকার আছে কি না… বা কোন পথে চিকিৎসা এগোবে… সেই বিষয়ে তাঁরা কিছু জানতে পারছেন না। এমনই অভিযোগ উঠছে। এই অভিযোগের বিষয়টি আদৌ কতটি সত্য, তা যাচাই করার জন্য হাসপাতালের অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার হাসিবুর মল্লিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছিল। তিনি বলছেন, চিকিৎসক এখনও তাঁকেই রিপোর্ট দেননি। তাই তাঁর পক্ষে বিষয়টি জানানো সম্ভব নয়। এই নিয়ে এমএসভিপির সঙ্গে কথা বলার জন্য বলেন তিনি।
উল্লেখ্য, সলমন খানের ঘটনা একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল ঘটনা। তিনি আনিস খানের মৃত্যু মামলার অন্যতম সাক্ষী। তাঁর উপরে হামলা হয়েছে। তিনি বর্তমানে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন। এমন পরিস্থিতিতে পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপারের সঙ্গে কথা বলার পর যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল হাসপাতালের এমএসভিপির সঙ্গেও। কিন্তু তাঁর মোবাইল সুইচড অফ ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে সলমন খানের সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেতে এত দেরি কেন? পরিবারের লোকেরা তো দূরস্ত, খোদ হাসপাতালের অ্যাডিশনাল মেডিক্যাল সুপার নিজেই বলছেন, তাঁর কাছেও সেই সময় পর্যন্ত কোনও রিপোর্ট আসেনি সিটি স্ক্যানের। তিনি বলছেন এমএসভিপির সঙ্গে কথা বলতে। এদিকে এমএসভিপির ফোন সুইচড অফ। এমন একটি সংবেদনশীল ঘটনায় আবারও বেআব্রু হল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো।