আমতা : আত্মহত্যা করেননি আমতার ছাত্রনেতা আনিস খান (Anis Khan)। পুলিশও তাঁকে খুন করেনি। তবে আনিসের মৃত্যুতে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে বলে আজ কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকার করেছেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌম্যেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের এই মন্তব্যের পর ছেলের মৃত্যু নিয়ে ফের সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন আনিসের বাবা সালেম খান। আজ তিনি বলেন, “সঠিক তদন্তের জন্যই সিবিআই চাইছি। সেজন্য বারবার কোর্টের কাছে সিবিআই তদন্ত চেয়েছি।”
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাতে আনিস খানের বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যায় পুলিশ। সেই সময় বাড়ি থেকে নীচে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। আনিসের বাবার অভিযোগ, তাঁর ছেলেকে উপর থেকে নীচে ঠেলে ফেলে দিয়ে খুন করেছে পুলিশ। যদিও আজ রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে বলেন, পুলিশ খুন করেনি আনিসকে। স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম সঠিক তদন্ত করছে বলে তাঁর বক্তব্য।
রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের বক্তব্য মেনে নিতে পারছেন না আনিসের বাবা। সিটের তদন্তে ভরসা নেই তাঁর। তিনি বলছেন, “এই পুলিশ খুন করেছে। এই পুলিশ কীভাবে তদন্ত করবে। মামলা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য সিট রয়েছে। উপর মহল থেকে নীচ মহল পর্যন্ত এতে জড়িত।” একমাত্র সিবিআই তদন্ত হলে সত্য বেরিয়ে আসবে বলে তাঁর বিশ্বাস।
কলকাতা হাইকোর্টে আনিসের মৃত্যু মামলার পরবর্তী শুনানি ৭ জুন। আনিসের বাবা বলেন, “রায় কিছু না পেলে সুপ্রিম কোর্ট যাব। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না। ”
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন। তিনি বলেন, “রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল মমতার নির্দেশে লুকোচুরি খেলছেন। সত্য লুকানোর চেষ্টা করছেন।” অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেছেন পুলিশের গাফিলতি রয়েছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস চৌধুরী।
আদালতের তত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবি জানানোর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “আমরা চাই ষড়যন্ত্র প্রকাশ পাক। পুলিশের ভূমিকা কী, তা জানতে হবে। কার নির্দেশে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা, তাও জানতে হবে।”