হাওড়া: বাগনানে রাঁচির ইউটিউবার খুনে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, নিহত ইউটিউবার ইশা আলিয়ার স্বামী প্রকাশকুমার ঝাঁ-এর দু’জন স্ত্রী। একজন রাঁচিতেই গ্রামের বাড়িতে থাকেন। কয়েক বছর আগে ভালোবেসে ইশা আলিয়া ওরফে রিয়া কুমারীকে বিয়ে করেছিলেন প্রকাশকুমার। কিন্তু প্রথমপক্ষের স্ত্রীকে নিয়ে সম্প্রতি ইশার সঙ্গে পারিবারিক অশান্তি শুরু হয় প্রকাশকুমারের। দুজনের মধ্যে একাধিক ইস্যুতে অশান্তি হতে থাকে। তার মধ্যে প্রকাশের প্রথম বিয়েটাই মূল কারণ। দাম্পত্য কলহের পাশাপাশি সম্প্রতি অর্থনৈতিক সঙ্কটও দেখা দিয়েছিল তাঁদের পরিবারে। সেভাবে রোজগার হচ্ছিল না। তাই দু’জনের মধ্যে সমস্যা লেগেই ছিল। সেই কারণেই ইশা আলিয়াকে খুন করেছেন প্রকাশকুমার ঝাঁ, অভিযোগ অভিনেত্রীর পরিবারের। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর স্বামী প্রকাশকুমার ঝাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁর কথাতে একাধিক অসঙ্গতি মিলেছে।
গাড়ি ও ঘটনাস্থল থেকে ইতিমধ্যেই নমুনা সংগ্রহ করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর থেকে কার্তুজের খোল উদ্ধার হয়েছে। সেক্ষেত্রে পুলিশ বলছে, গুলি চলেছিল গাড়ির ভিতরেই। প্রকাশের হাতেও বারুদের গন্ধ মিলছে কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখছে পুলিশ। প্রথম থেকেই প্রত্যক্ষদর্শীরা বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, অভিনেত্রীর স্বামী তাঁদের বলেছিলেন, ছিনতাইয়ে বাধা পেয়েই গুলি চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। অথচ গাড়িতে গুলির কোনও চিহ্ন ছিল না। গাড়ির কাচও ফুটো ছিল না। এমনকি ধস্তাধস্তিরও কোনও প্রমাণ মেলেনি। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, আদৌ ছিনতাইবাজদের হামলা নাকি অন্য কিছু? তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই প্রকাশকুমারের ওপর সন্দেহ বাড়ছে পুলিশের। আপাতত তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাগনানে সাতসকালে খুন হন রাঁচির ইউটিউবার ইশা আলিয়া। স্বামী ও আড়াই বছরের মেয়েকে নিয়ে ঝাড়খণ্ড থেকে কলকাতায় আসছিলেন। বাগনানে মহিষরেখা ব্রিজের ওপর গাড়ি দাঁড় করানো ছিল। সেখানেই তাঁকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। স্বামীর বক্তব্য ছিল, ছিনতাইবাজরা গুলি করেছে। কিন্তু তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই উঠে আসছে অন্য তত্ত্ব।