হাওড়া: হাওড়া বাগনানে রাঁচির ইউটিউবারের গুলিবিদ্ধ (Bagnan Murder) হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় নতুন মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, ইশা আলিয়া নামে ওই মহিলাকে গাড়ির ভিতরে থাকা অবস্থাতেই গুলি করা হয়েছিল। সূত্রের খবর, গাড়ির মধ্যে ঘুমোচ্ছিলেন ওই মহিলা, সেই সময় তাঁকে গুলি করা হয়। এদিকে মৃতার স্বামী প্রকাশকুমার ঝাঁকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তাঁর কথাতেও বেশ কিছু ক্ষেত্রে অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে খবর, সেই কারণেই দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ। এদিকে পুলিশ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মহিলাকে গাড়ির ভিতরে থাকাকালীনই গুলি করা হয়েছে। তবে কে গুলি করেছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। বুধবারের ওই ঘটনার পর ফরেন্সিক টিমও গাড়িটি পরীক্ষা করতে এসেছিল। সূত্রের খবর, গাড়ির ভিতরে গুলির খোলও পেয়েছেন ফরেন্সিক আধিকারিকরা।
উল্লেখ্য, এদিন সন্ধে প্রায় সাড়ে ছ’টা নাগাদ ফরেন্সিক টিমের আধিকারিকরা গাড়িটি পরীক্ষা করতে আসেন। প্রায় ঘণ্টা তিনেক সেখানে ছিলেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ফরেন্সিক পরীক্ষার সময়ে গাড়ির ভিতরে একটি গুলির খোল পাওয়া গিয়েছে। গাড়ির ভিতরে যে বালিশ জাতীয় জিনিসটি ছিল, সেখানেও রক্তের দাগ পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। গাড়ির ভিতরে থাকা কম্বল এবং অন্যান্য বেশ কিছু নমুনা ফরেন্সিক আধিকারিকরা সংগ্রহ করেছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, বাইরের কোনও দুষ্কৃতী নয়, ইশা আলিয়ার স্বামীর পরিচিত কোনও ব্যক্তিই এই হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, মৃতার স্বামীর দাবি অনুযায়ী, এদিন সকালে বাগনানে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর মহিষরেখা ব্রিজের কাছে গুলি চালানোর ঘটনাটি ঘটেছিল। ইশা আলিয়ার স্বামীর দাবি, তিনি গাড়ি থামিয়ে বাইরে বেরিয়েছিলেন কিছু সময়ের জন্য। সেই সময়েই দুষ্কৃতীরা একটি গাড়িতে করে এসে গুলি করে পালিয়ে যায় বলে দাবি তাঁর। ঘটনার পিছনে কোনও পুরনো শত্রুতা রয়েছে কি না, সেই বিষয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল প্রকাশ কুমারকে। তাঁর বক্তব্য, কোনও শত্রুতা থাকতেও পারে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, যদি দুষ্কৃতীরা হামলা করে থাকে, তাহলে কেন ঘটনাস্থলে তেমন কোনও চিহ্ন মিলল না? সব মিলিয়ে মৃতা ইশা আলিয়ার স্বামীর বক্তব্যেও বেশ কিছু ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে। আর সেই সব দিকগুলিই খতিয়ে দেখছেন পুলিশ আধিকারিকরা। আপাতত সন্দেহের তালিকার ঊর্ধ্বে রাখা হচ্ছে না মৃতার স্বামীকে।