বালি: এবার হাওড়া বালির আইনজীবীর বাড়িতে হানা সিআইডি-র (CID)। হাইর্কোটের মামলা জালিয়াতির অভিযোগে নাম জড়ায় কয়েকজন আইনজীবী। সেই মামলায় নড়েচড়ে বসে আদালত। বিষয়টি নজরে আসতেই সিআইডি ও কলকাতা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ঘটনার জেরে নাম উঠে বালির এক আইনজীবী গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়ের। উচ্চ-আদালতের সেই প্রতারণা মামলায় সোমবার তাঁর বাড়িতে পৌঁছন সিআইডি-র গোয়েন্দা আধিকারিকরা। শুধু গৌতমবাবু নন, পাশাপাশি তাঁর ক্লার্কের সালকিয়ার বাড়িতে চলে তল্লাশি।
সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ গোয়েন্দাদের একটি দল এসে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। প্রায় সাত ঘণ্টা পর অর্থাৎ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ আর একটি গাড়িতে আরও ৬ জন সদস্য এসে যোগ দেন। দীর্ঘ প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে জেরার পর সিআইডি’র অফিসাররা বালির দাওনাগাছির ওই আইনজীবীর বাড়ি থেকে বের হন।
তাঁরা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে না চাইলেও জানা গিয়েছে কিছু নথি তাঁরা এদিন খতিয়ে দেখেন। পাশাপাশি কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ এনেও সমস্ত নথি খতিয়ে দেখতে থাকেন। যদিও ওই আইনজীবীকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি। এ দিন সমস্ত তদন্ত শেষে দু’টি গাড়িতে সিআইডি আধিকারিকরা বেরিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, এর আগে ভুয়ো নথি পেশে অরিন্দম রায় আরও এক আইনজীবীর নাম জড়ায়। অভিযোগ, কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে খবর পেলেই নিজে থেকে যোগাযোগ করতেন এক আইনজীবী। টাকা নিয়ে জামিন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিতেন। তারপর ভুয়ো নথি পেশ করে জামিন দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দিতেন। তাঁর বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিন বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। ওই আইনজীবী আদালতকে বিপথে চালিত করেছেন। জামিনের একাধিক মামলায় তথ্য এবং নথি জালিয়াতি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। আদালতকে প্রতারিতও করেছেন ওই আইনজীবী। পাশাপাশি, মামলার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নন, এমন আইনজীবীদের নাম করে মামলা দায়ের করার অভিযোগও উঠেছে।