হাওড়া: চোখে-মুখে কালশিটের দাগ। মাটিতে শুয়ে রয়েছেন তিনি। চাদর চাপা দেওয়া অবস্থায় পড়ে রয়েছেন মহিলা। পরে তাঁর বাপের বাড়িতে ফোন করে জানানো হল মর্মান্তিক সেই খবর।
এক গৃহবধূর অস্বাভিক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাওড়ার নিশ্চিন্দায়। মৃতের নাম শুভশ্রী ভট্টাচার্য (২৯)। তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, ওই গৃহবধূকে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করে খুন করেছেন তাঁর স্বামী। ঘটনার তদন্তে নেমে মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নিশিন্দা থানার পুলিশ। আটক করা হয় তাঁকে।
সোমবারের ঘটনা। মৃতের পরিবার সূত্রে খবর, এ দিন সকাল ৮টা নাগাদ হুগলির মাহেশে শুভশ্রীর বাপের বাড়িতে তাঁর স্বামী ফোন করে জানায় শুভশ্রী মারা গিয়েছেন। বাপের বাড়ির লোকেরা সঙ্গে-সঙ্গে বালি ঘোষপাড়ায় শুভশ্রীর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে দেখেন মেঝেতে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মৃতদেহটি বারান্দায় চাদর চাপা দিয়ে রাখা ছিল। সারা গায়ে কালশিটের দাগ ও মুখে রক্তের দাগ ছিল। গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, পেশায় টোটো চালক শুভশ্রীর স্বামী দীর্ঘদিন ধরেই টাকার দাবিতে স্ত্রীকে মারধর করতেন। এমনকী জোর করেও তিনি টাকা নিয়েছেন। পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ১১ বছর আগে বিয়ে হয় শুভশ্রীর। এই দম্পতির কোনও সন্তান নেই। মানসিক অবসাদে প্রায়দিনই স্বামী-স্ত্রী বসে মদ্যপান করতেন। এছাড়া নানা বিষয় নিয়ে ঝগড়া অশান্তি লেগেই থাকতে। সম্প্রতি শুভশ্রী অসুস্থও হয়ে পড়েন। পুলিশ জানিয়েছে, সোমবার সকালে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতে হতেই শুভশ্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাঁকে নিয়ে তাঁর স্বামী একটি টোটোতে করে যখন হাসপাতালে যাচ্ছিলেন তখনই সেখানে মৃত্যু হয় গৃহবধূর। বালির ঘোষপাড়া বিবেকানন্দ কলোনীর কাছে ঘটনাটি ঘটে। এরপরই পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।