হাওড়া: উত্তরবঙ্গের মতো দক্ষিণবঙ্গেরও বিভিন্ন জেলা থেকে আসছে অজানা জ্বরের খবর। এবার হাওড়া গ্রামীণ আমতা হাসপাতালে অজানা জ্বরে আক্রান্ত শিশুদের খোঁজ মিলল।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, গত দু-তিন দিনে হাওড়ার আমতায় অজানা জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। অজানা জ্বরে কমপক্ষে ২৫ জন শিশু আক্রান্ত হয়েছে। তারা ভর্তি আছে আমতা গ্রামীণ হাসপাতলে। বেশিরভাগ শিশুর জ্বরের পাশাপাশি পায়খানা এবং খিঁচুনি দেখা দিয়েছে। এই নিয়ে অসুস্থ শিশুদের অভিভাবকরা আতঙ্কিত।
অভিভাবকরা জানিয়েছেন,সাত আট দিন আগে এই জ্বর হয়েছে। জ্বরের ওষুধ দিলে জ্বর কমে যাচ্ছে কিন্তু আবার জ্বর আসছে এরকম টানা চলছে।
এদিকে চিকিৎসকরা বলছেন,আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বাচ্চাদের জ্বর, সর্দি এবং পায়খানার প্রকোপ দেখা যায়। এখন বাচ্চাদের ভাইরাল ফিভার এর পাশাপাশি পায়খানা হচ্ছে। জ্বর নিয়ে রাজ্য সরকারের গাইডলাইন মেনে তারা কাজ করছেন। চিন্তার কোন কারণ নেই। অন্যদিকে,
প্রসঙ্গত, আজই অজানা জ্বরের বলি এক শিশু। ফের সেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজেই। তবে শুধু ২৫ দিনের ওই নবজাতক নয়, ৪ মাসের ও ১১ বছরের দুটি শিশুরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরমধ্যে ৪ মাসের শিশুর মৃত্যুর কথা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ স্বীকার করলেও ১১ বছরের শিশু মৃত্যুর কথা কার্যত অস্বীকার করেছেন।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ২৫ দিনের ওই নবজাতক শ্বাসকষ্ট, জ্বর ও সর্দি নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। অয়ন বিশ্বাস নামে ধূপগুড়ির ওই নবজাতক রবিবার বিকেলে মারা যায়। মৃতের পরিবারের তরফে জানা গিয়েছে, জ্বর-শ্বাসকষ্ট নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল অয়ন। কিন্তু, মৃত্যুর কারণ কী তা স্পষ্ট করে বলতে পারেননি চিকিত্সকেরা বলেই জানিয়েছে মৃতের পরিবার।
অন্যদিকে, ৪ মাসের আরও এক সেপ্টিসেমিয়ায় আক্রান্ত ছিল বলে খবর হাসপাতাল সূত্রে। মৃত পারভিন জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই শ্বাসকষ্ট, জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় সে। কিন্তু, রক্তে সংক্রমণের দরুন রবিবার পারভিনের মৃত্যু হয়। তবে, মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিল না।
সূত্রের খবর, শুধু পারভিন বা অয়নই নয়, শাহাদুল হক নামে শিলিগুড়ির ১১ বছরের এক বালকও জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। সেই শিশুটির মৃত্যু ঘটলেও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি এমন কোনও মৃত্যু হয়নি। যদি হয়ে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। সম্প্রতি, মেডিক্যাল কলেজে শিলিগুড়ির কোনও শিশু ভর্তি হয়নি বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, শুধু পারভিন বা অয়নই নয়, শাহাদুল হক নামে শিলিগুড়ির ১১ বছরের এক বালকও জ্বর শ্বাসকষ্ট নিয়ে মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হয়। সেই শিশুটির মৃত্যু ঘটলেও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি এমন কোনও মৃত্যু হয়নি। যদি হয়ে থাকে তবে তা খতিয়ে দেখা হবে। সম্প্রতি, মেডিক্যাল কলেজে শিলিগুড়ির কোনও শিশু ভর্তি হয়নি বলেই জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে একের পর এক আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল সর্বত্রই এই অজানা জ্বরের আক্রান্ত শিশুদের খবর পাওয়া গিয়েছে। সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি সামনে আসতেই হাসপাতালগুলি মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছে। অনেকেই অভিযোগ করছেন, গুরুতর অসুস্থ না হলে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। ফলে, অনেকেই ফিরে আসছেন। পাশাপাশি, পুরোপুরি সুস্থ না হতে হতেই হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে অনেককে এমনটাই খবর সূত্রের।
আরও পড়ুন: Bhabanipur By-Election: ‘মেরেছি ছক্কা, একেবারে বাউন্ডারির বাইরে গিয়েছে আর আপনি এখানে চলে এসেছেন’