Bhabanipur By-Election: ‘মেরেছি ছক্কা, একেবারে বাউন্ডারির বাইরে গিয়েছে আর আপনি এখানে চলে এসেছেন’
Suvendhuu Adhikari: ভবানীপুরে আজ প্রচারের শেষ দিন। ৮টি ওয়ার্ডে ৮০ জন বিজেপি নেতা প্রচার চালাচ্ছে।
কলকাতা: নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) হারিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাই মুখ্যমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে ভবানীপুর থেকে উপ নির্বাচনে লড়ছেন মমতা। আজ ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের হয়ে শেষবেলার প্রচারে সেই কেন্দ্রে এসে প্রতিপক্ষ মমতাকে একের পর এক তোপ দাগলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের (Nandigram) পরাজয়ের কথা মনে করিয়ে দিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘মেরেছি ছক্কা, একেবারে বাউন্ডারির বাইরে গিয়েছে আর আপনি এখানে চলে এসেছেন।’ এমনকি প্রিয়াঙ্কা জিতে বিরোধী দলনেতার চেয়ার ছেড়ে দেবেন বলেও উল্লেখ করলেন শুভেন্দু।
‘তৃণমূলের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা আদায় করুন’
শুভেন্দুর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ভোটটা ভবানীপুররে ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু বলেন, করদাতাদের ৩ কোটি টাকা ব্যয় করে এই নির্বাচন করা হচ্ছে। তিনি উল্লেখ করেন, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় সুস্থই আছেন, দলবদলও করেননি। তাই ভবানীপুরের এই নির্বাচনের কোনও প্রয়োজনীয়তা ছিল না। শুভেন্দু বলেন, ‘উচ্চ আদালত কী করবে আমি জানি না, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পাঁচ কোটি টাকা আদায় করা উচিৎ।
‘এরকম নির্লজ্জ রাজনীতিক ভারতে স্বাধীনতার পর পাবেন না, প্রিয়াঙ্কাকে নিজের চেয়ার ছেড়ে দেব’
শুভেন্দুর দাবি, নন্দীগ্রামে তাঁকেই হারাতে গিয়েছিলেন মমতা, অথচ নিজেই হেরে চলে এসেছেন। শুভেন্দু বলেন, স্বাধীনতার পর এত নির্লজ্জ রাজনীতিক ভারতে আর পাওয়া যায় না। একজন হেরে যাওয়া লোক ঘুরে ঘুরে বলছে আমাকে ভোট দিন।’ মমতার উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি নাকি ত্যাগের প্রতীক? আমি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বলব প্রিয়াঙ্কা জিতলে আমার চেয়ারটা যেন ওকে দিয়ে দেওয়া হয়।
নিজের আর ভাইপোর স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেন না
শুভেন্দুর মতে, একজন হেরে যাওয়া রাজনীতিককে কখনও মুখ্যমন্ত্রী করা উচিৎ নয়। হিমাচল প্রদেশের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রেম কুমার ধুবল দুটি আসনে হেরেছিলেন, কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় এসেছিল। প্রেম কুমার ধুবলকে মুখ্যমন্ত্রী করেনি বিজেপি।’ শুভেন্দুর দাবি, জনতা যাঁকে সমর্থন করেনি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করা উচিৎ নয়। আক্রমণ শানিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবকে দিয়ে লেখালেন সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে। অথচ অমিত মিত্র, শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কী হবে, সেটা ভাবলেন না।’ তাঁদেরও ৬ মাসের মেয়াদ ফুরোচ্ছে, ফলে মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন দু’জনেই।
মুখ্যমন্ত্রীকে স্বার্থপর আখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘আপনার প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি, আপনি নিজের আর ভাইপোর স্বার্থ ছাড়া কিছু বোঝেন না।’
আপনি শিখিয়েছেন দিদিকে বল, তাই দিদিকে বলতে গিয়েছিল
কয়েকদিন আগে মৃত বিজেপি নেতা মানস সাহার দেহ নিয়ে ভবানীপুরে বিক্ষোভ দেখাতে চায় বিজেপি। সেই ঘটনার পর কড়া প্রতিক্রিয়া দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ভবানীপুরের সভা থেকে সেই প্রসঙ্গ তুলে শুভেন্দু, ‘আপনি শিখিয়েছেন দিদিকে বল। তাই দিদিকে বলতে গিয়েছিল।’ শুভেন্দু উল্লেখ করেন, মমতা ও অভিষেকের নিরাপত্তার বাড়বাড়ন্তে সারা বছর ওই রাস্তা দিয়ে শববাহী গাড়ি কিংবা ধর্মীয় শোভাযাত্রা কিছুই যেতে পারে না।