হাওড়া: গভীর রাতের আগুন। হাওড়া আদালত চত্বরে তিনটি দোকানে হঠাৎ আগুন লাগে। দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। দোকানগুলির পাশেই হাওড়া রেজিস্ট্রি অফিস। রেজিস্ট্রি অফিসের মধ্যেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রেজিস্ট্রি অফিসের ভেতরে বেশ কিছু পুরানো কাগজ এবং জেরক্স মেশিন পুড়ে ছাই হয়ে যায়। হাওড়ার মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা প্রথম আগুন দেখেন। স্থানীয় দোকানদাররা সঙ্গে সঙ্গে খবর দেন হাওড়া থানায়। পুলিশ খবর দেয় দমকলে। ঘটনাস্থলে ছুটে যায় দমকলের দুটি ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে একটি অনলাইনের দোকানে আগুন লাগে। সেই দোকান থেকে আগুন পাশের লস্যির দোকানে এবং অন্য একটি জেরক্সের দোকানে ছড়িয়ে পড়ে। দুটি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। একটি দোকানের অর্ধেক পুড়ে যায়। আগুন রেজিস্ট্রি অফিসেও ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় হাওড়া আদালতের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। অফিসের রেজিস্টার সুশান্ত মণ্ডল বলেন, বাইরে আগুন লাগলেও অফিসের ভেতরে সেভাবে আগুন লাগেনি।
একটি জেরক্স মেশিন এবং বেশ কিছু পুরনো কাগজ পুড়ছে। তবে দমকলের কর্মীরা জল ঢালার ফলে বেশ কিছু কাগজ ভিজে গিয়েছে। সেগুলি শুকানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জমির কাগজপত্র ৮৫ শতাংশ ডিজিটাইজড করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আজ সকালে রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রী অরূপ রায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, “আদালত চত্বরে দোকানগুলিতে বৈদ্যুতিক সংযোগ যেমন তেমন ভাবে করা হয়েছে। ফলে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটের ফলে বিপদ ঘটেছে। তবে এই রেজিস্ট্রি অফিস ঐতিহাসিক ভবন। এখানে স্বামী বিবেকানন্দ বেলুড় মঠের জমি রেজিস্ট্রি করার জন্য এসেছিলেন। শহরের বাসিন্দাদের জমির গুরুত্বপূর্ণ দলিল এখানে জমা আছে। তবে সেই সব গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রের কোন ক্ষতি হয়নি।”