Howrah Murder: ঘরের দেওয়ালের ছাপটাই নৃশংসতার জানান দিয়েছিল, ভাড়াটের চরম পরিণতি দেখলেন মালিক

TV9 Bangla Digital | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

May 22, 2022 | 3:54 PM

Howrah Murder: আশপাশের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। কে বা কারা বাবলুর ঘরে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করেছে,তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

Howrah Murder: ঘরের দেওয়ালের ছাপটাই নৃশংসতার জানান দিয়েছিল, ভাড়াটের চরম পরিণতি দেখলেন মালিক
হাওড়ায় দেহ উদ্ধার

Follow Us

হাওড়া: অন্যান্য দিন সকালেই ঘুম থেকে উঠে ঘরের সামনে ভাড়াটে দাঁত মাজতে দেখতেন বাড়িমালিক। কিন্তু রবিবার দীর্ঘক্ষণ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁকে না দেখায় সন্দেহ হয় বাড়িমালিকের। ভাড়াটের ঘরের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকতেই রীতিমতো শিউরে উঠলেন তিনি। ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছে। মাথা থ্যাতলানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ভাড়াটিয়া। শরীরে তাঁর একাধিক ক্ষত। খবর চাউর হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির ভিতর ঢুকে এক যুবকের মাথা থেঁতলে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। মৃতের নাম বাবলু কুমার সিং (৩৩)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়া ময়দানের পঞ্চাননতলা এলাকার বেলিলায়াস লেনে।

৮৯, নম্বর আই আর বেলিলিয়াস লেনের দোতলা একটি বাড়ির একতলায় ভাড়া থাকতেন পেশায় রাজমিস্ত্রি বাবলু। কর্মসূত্রে হাওড়ায় থাকলেও তিনি ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা। ওই বাড়ির মালিক কাঞ্চন দাস জানিয়েছেন, এদিন বাবলু বেলা পর্যন্ত ঘুম থেকে উঠছেন না দেখে প্রথমে তিনি অনেক ডাকাডাকি করেন। তার পর নিজেই ঘরের দরজা ঠেলে দেখেন,  মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বাবলুর দেহ। মাথায় গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে তাঁর। দৃশ্যত ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারাল অস্ত্রের কোপের দাগও রয়েছে বলে বাড়ি মালিক জানিয়েছেন। ঘরের দেওয়ালেও ছিটকে লেগেছে রক্তের দাগ। এমনকি ঘরের দরজাতেও চাপ চাপ রক্তের দাগ। সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশে খবর দেন তিনি। হাওড়া থানার পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।

আশপাশের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন। কে বা কারা বাবলুর ঘরে ঢুকে তাঁকে নৃশংসভাবে খুন করেছে,তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পেশাগত নাকি পারিবারিক কোনও শত্রুতা থেকে এই খুন, সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।

দোতলা বাড়ির একতলায় যে ঘরটিতে ভাড়া থাকতেন বাবলু, ওই ঘরের সামনে রয়েছে তিন ফুটের একটি পাঁচিল। পাঁচিলের পিছনে নির্মীয়মান একটি বহুতল রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভোর রাতে নির্মীয়মান বহুতলের ভিতর দিয়ে এসে পাঁচিল টপকে বাবলুর ঘরে কেউ ঢুকেছিল। পুলিশ আরও মনে করছে, পরিচিত কেউই এ কাজ করে থাকতে পারে। তাই বাবলু তাকে ঘরে ঢুকতে দিয়েছিল।

জানা যাচ্ছে, বাবলুর সঙ্গে আরও দু’জন সহকর্মী মিলে মোট তিন জন এই বাড়িতে ভাড়া থাকেন। কিন্তু বাকি ২ জন চার-পাঁচ দিন আগে ঝাড়খণ্ডে দেশের বাড়িতে গিয়েছেন। তাই ওই বাড়িতে একাই ছিলেন বাবলু। বাবলুর এক দাদা বিথীন কুমার সিং খবর পেয়ে আসেন। তিনি জানিয়েছেন, ১৪-১৫ বছর ধরে বাবলু বাংলায় রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। বছর পাঁচেক আগে বেলিলিয়াস লেনের ওই বাড়িটি ভাড়া নেন। ঝাড়খণ্ডেই বাবলুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকেন। বীরেন্দ্র সিং নামে বাবলুর এক সহকর্মী জানালেন, ৩-৪ মাস হয়ে গেলেও বাবলু দেশে যাননি। এদিন পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়েই মৃতের পরিবারের সদস্যরা ঝাড়খণ্ড থেকে হাওড়ার আসেন।

Next Article