হাওড়া: শনিবার বিকেলে হঠাৎ কালো করে আসে আকাশ। বিকেলেই নামে রাতের অন্ধকার। শুরু হয় তুমুল ঝড়-বৃষ্টি। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার গতকালের ছবিটা ছিল এক। এই ঝড়বৃষ্টির জেরে কোথাও গাছ চাপা পড়ে, কোথাও আবার বাড়ি ভেঙে মৃত্যুর খবর এসেছে। কলকাতাতে রোয়িং করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে দুই কিশোরের। এইসবের মধ্যে হাওড়া থেকে এল মর্মান্তিক খবর। প্রচণ্ড কালবৈশাখীর দাপটে পাঁচিল ভেঙে বিপর্যয়। পাশাপাশি বি-গার্ডেন এলাকায় গাছ ভেঙে পড়ে মৃত এক মহিলা।
জানা গিয়েছে, ঝড়ের দাপটে হাওড়ার রাজবল্লভ সাহা লেনে একটি পুরনো বাড়ির একাংশের সামান্য ভেঙে পড়ে। এই ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলেই স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। শনিবার বিকেলে হাওড়ার কালবৈশাখীর ঝড় ও প্রবল বৃষ্টিতে ওই বটগাছটি ভেঙে পড়ে বলে খবর। এর জেরে সংলগ্ন রাস্তা কিছুক্ষণের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে যায়। পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মীরা এসে গাছটি সরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়, হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী ও পুর কমিশনার ধবল জৈন। ডুমুরজলা এলাকাতেও ঝড়ে কারণে বেশকিছু গাছ ভেঙে পড়ে যায় বলে জানা গিয়েছে। যার কারণে কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রাস্তা। পরে প্রশাসনিক উদ্যোগে সরানো হয় গাছ।
অন্যদিকে, ঝড়ের সময় বাইরে বেরিয়ে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধার। মৃতার নাম বঙ্গবালা মাইতি (৭১)। ঘটনাটি ঘটেছে বোটানিক্যাল গার্ডেন থানা এলাকার বাঁকসাড়া নবনারী তলায়। আহত অবস্থায় তাঁকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মহিলা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দা। মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন। এ দিন সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় বাইরে বেরিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি।
বৃদ্ধার নাতনি জানান, ‘দিদার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরে। এখানে বেড়াতে এসেছিলেন। রবিবার ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। ঝড়ের সময় কখন বাইরে বেরিয়েছিলেন বুঝতে পারিনি। তখনই হঠাৎ এমন ঘটনা।’