Body Recover: অবসাদ থেকেই কি চরম পথে জাতীয় এয়ার রাইফেল শ্যুটার! উদ্ধার সুইসাইড নোট

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Dec 16, 2021 | 7:05 PM

Howrah: বৃহস্পতিবার হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর জানান, কণিকার দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে।

Follow Us

হাওড়া: বালিতে এয়ার রাইফেল শ্যুটারের আত্মহত্যার ঘটনা নয়া মোড়। প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েই এই ঘটনা বলেই একটি সুইসাইড নোট তিনি লিখে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলা রাজ্যস্তরের শ্যুটারের দেহের পাশেই সেই সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

বালিতে রাজ্যস্তরের এয়ার রাইফেল শ্যুটার কণিকা লায়েক (২৮)-এর ঝুলন্ত দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটটি। ঝাড়খণ্ডের হয়ে এয়ার রাইফেল শ্যুটিং করা ওই তরুণী তাঁর সুইসাইড নোটে হিন্দিতে লেখেন, রাইফেল শ্যুটিংয়ের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার জন্যই এই কঠিন পদক্ষেপ। এ জন্য ওই নোটে তিনি তাঁর বাবা, মা ও দিদির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বালির ১০৫/১ বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ‘মুক্তি নীড়’ নামে একটি মহিলা গেস্ট হাউস থেকে কণিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের পাশে থাকা সুইসাইড নোট দেখে ও তদন্তে নেমে বালি থানার পুলিশ জানতে পারে, কণিকা একজন এয়ার রাইফেল শ্যুটার। ঝাড়ণ্ডের হয়ে তিনি রাজ্যস্তরে রাইফেল শ্যুটিং করতেন।

তাঁর বাড়ি ধানবাদের অনুগড় নগর ধানসারে। কলকাতা ও বালির পিএন ঘোষ রোডে রাইফেল শ্যুটিংয়ের অনুশীলনের জন্য এসেছিলেন। সাড়ে তিন মাস আগে বালির বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটের গেস্ট হাউসে ওঠেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, বালির পিএন ঘোষ রোডে কোচ জয়দেব কর্মকারের কাছে নিয়মিত রাইফেল শ্যুটিংয়ের অনুশীলন করতে যেতেন কণিকা।

তিনি ঝাড়খণ্ডের হয়ে রাইফেল শ্যুটিংয়ে নেমে একবার সোনাও জিতেছিলেন। নিয়মিত রাজ্যস্তরের রাইফেল শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। দিন পনেরো আগে একটি প্রতিযোগিতায় কোয়ালিফাইং কৃতকার্য হতে পারেননি তিনি। এর পরই দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।

কণিকার সম্পর্কে এ ধরনের যাবতীয় তথ্য জানার পরই বুধবার রাতে তরুণীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় বালি থানার পুলিশ। তদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টি সামনে আসে। বৃহস্পতিবার সকালেই বালিতে আসেন কণিকা লায়েকের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের তরফে কণিকার দিদি ও জামাইবাবু এদিন হাওড়ায় আসেন। কণিকার জামাইবাবু রণজিৎ গাঙ্গুলি জানান, অনেক কষ্ট করে কণিকা রাইফেল শ্যুটিং করছিলেন। তাঁর এই সাফল্যের পিছনে অনেক লড়াই ছিল। কিন্তু কেন এমন ঘটনা তিনি ঘটালেন তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

তবে এ ব্যাপারে পুলিশকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রণজিৎবাবু। কণিকার পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা, মা রয়েছেন। তাঁরা পাঁচ বোন। সামনের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কণিকার বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনায় শোকার্ত তাঁর পরিবার।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার চার তলা ওই গেস্ট হাউসের তিন তলার হল ঘর থেকে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় কণিকার দেহ উদ্ধার হয়। গত দশ দিন ধরেই অনুশীলনে যাচ্ছিলেন না কণিকা। নিজেকে ঘরবন্দি রেখে দিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বুধবার ওই গেস্ট হাউসে কণিকার সঙ্গে থাকা সাতজন কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর জানান, কণিকার দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানে তিনি রাইফেল শুটিংয়ে নিজের ব্যর্থতার জন্য আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে খেলাধূলোয় হেরে গিয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর বলেও এদিন জানান পুলিশ কমিশনার।

আরও পড়ুন: Crime News: ‘যে দোষ করবে সে মার খাবে’, প্রাক্তন প্রেমিককে গুলি করে সদর্পে বলল নাবালিকা প্রেমিকা

হাওড়া: বালিতে এয়ার রাইফেল শ্যুটারের আত্মহত্যার ঘটনা নয়া মোড়। প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হয়েই এই ঘটনা বলেই একটি সুইসাইড নোট তিনি লিখে গিয়েছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের হয়ে খেলা রাজ্যস্তরের শ্যুটারের দেহের পাশেই সেই সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি।

বালিতে রাজ্যস্তরের এয়ার রাইফেল শ্যুটার কণিকা লায়েক (২৮)-এর ঝুলন্ত দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটটি। ঝাড়খণ্ডের হয়ে এয়ার রাইফেল শ্যুটিং করা ওই তরুণী তাঁর সুইসাইড নোটে হিন্দিতে লেখেন, রাইফেল শ্যুটিংয়ের কোয়ালিফাইং রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় ব্যর্থ হওয়ার জন্যই এই কঠিন পদক্ষেপ। এ জন্য ওই নোটে তিনি তাঁর বাবা, মা ও দিদির কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ বালির ১০৫/১ বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটে ‘মুক্তি নীড়’ নামে একটি মহিলা গেস্ট হাউস থেকে কণিকার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দেহের পাশে থাকা সুইসাইড নোট দেখে ও তদন্তে নেমে বালি থানার পুলিশ জানতে পারে, কণিকা একজন এয়ার রাইফেল শ্যুটার। ঝাড়ণ্ডের হয়ে তিনি রাজ্যস্তরে রাইফেল শ্যুটিং করতেন।

তাঁর বাড়ি ধানবাদের অনুগড় নগর ধানসারে। কলকাতা ও বালির পিএন ঘোষ রোডে রাইফেল শ্যুটিংয়ের অনুশীলনের জন্য এসেছিলেন। সাড়ে তিন মাস আগে বালির বীরেশ্বর চ্যাটার্জি স্ট্রিটের গেস্ট হাউসে ওঠেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, বালির পিএন ঘোষ রোডে কোচ জয়দেব কর্মকারের কাছে নিয়মিত রাইফেল শ্যুটিংয়ের অনুশীলন করতে যেতেন কণিকা।

তিনি ঝাড়খণ্ডের হয়ে রাইফেল শ্যুটিংয়ে নেমে একবার সোনাও জিতেছিলেন। নিয়মিত রাজ্যস্তরের রাইফেল শ্যুটিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিতেন। দিন পনেরো আগে একটি প্রতিযোগিতায় কোয়ালিফাইং কৃতকার্য হতে পারেননি তিনি। এর পরই দেহ উদ্ধার হয় তাঁর।

কণিকার সম্পর্কে এ ধরনের যাবতীয় তথ্য জানার পরই বুধবার রাতে তরুণীর পরিবারের লোকজনকে খবর দেয় বালি থানার পুলিশ। তদন্তে আত্মহত্যার বিষয়টি সামনে আসে। বৃহস্পতিবার সকালেই বালিতে আসেন কণিকা লায়েকের পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের তরফে কণিকার দিদি ও জামাইবাবু এদিন হাওড়ায় আসেন। কণিকার জামাইবাবু রণজিৎ গাঙ্গুলি জানান, অনেক কষ্ট করে কণিকা রাইফেল শ্যুটিং করছিলেন। তাঁর এই সাফল্যের পিছনে অনেক লড়াই ছিল। কিন্তু কেন এমন ঘটনা তিনি ঘটালেন তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

তবে এ ব্যাপারে পুলিশকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রণজিৎবাবু। কণিকার পারিবারিক সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা, মা রয়েছেন। তাঁরা পাঁচ বোন। সামনের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে কণিকার বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। কিন্তু হঠাৎ এমন ঘটনায় শোকার্ত তাঁর পরিবার।

এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার চার তলা ওই গেস্ট হাউসের তিন তলার হল ঘর থেকে গলায় কাপড়ের ফাঁস লাগানো অবস্থায় কণিকার দেহ উদ্ধার হয়। গত দশ দিন ধরেই অনুশীলনে যাচ্ছিলেন না কণিকা। নিজেকে ঘরবন্দি রেখে দিয়েছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বুধবার ওই গেস্ট হাউসে কণিকার সঙ্গে থাকা সাতজন কাজে বেরিয়ে যাওয়ার পরই তিনি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এই প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার হাওড়ার পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর জানান, কণিকার দেহের পাশ থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে। সেখানে তিনি রাইফেল শুটিংয়ে নিজের ব্যর্থতার জন্য আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে খেলাধূলোয় হেরে গিয়ে এই ধরনের পদক্ষেপ সমাজের পক্ষে ক্ষতিকর বলেও এদিন জানান পুলিশ কমিশনার।

আরও পড়ুন: Crime News: ‘যে দোষ করবে সে মার খাবে’, প্রাক্তন প্রেমিককে গুলি করে সদর্পে বলল নাবালিকা প্রেমিকা

Next Article