সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় : দিনটা ছিল ১২ মে। লোকসভা নির্বাচনের আগে প্রচারে সাঁকরাইলে সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নির্বাচন, রাজনীতি- ওতো বোঝে না ওরা, বোঝার কথাও নয়। কিন্তু দেশের প্রধানমন্ত্রীকে একবার চোখের দেখা দেখবে বলে বাবা-মায়ের হাত ধরে মোদীর জনসভায় গিয়েছিলেন সাঁকরাইলের দুই বোন। হাতে এঁকে নিয়ে গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। দুই খুদের হাতে পোস্টার ছিল ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’এর । সেদিন হাজারও মানুষের ভিড়ে প্রধানমন্ত্রীর নজর এড়িয়ে যায়নি দুই খুদে। প্রধানমন্ত্রী তাঁদের কাছে ডেকে কথাও বলেছিলেন, তাদের আঁকা ছবি উপহারস্বরূপ গ্রহণ করেছিলেন। সেদিন আপ্লুত হয়ে গিয়েছিল হাওড়ার ক্যারি রোডের বাসিন্দা অবিনাশ শর্মার দুই মেয়ে বাণী শর্মা ও উন্নতি শর্মা। নির্বাচন মিটেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেদিনের কথা ভোলেননি। আর তাই এতদিন বাদেও উপহার এল প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে।
উন্নতির হাতে আঁকা ছবির প্রশংসাপত্র পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী। এতে উচ্ছ্বসিত উন্নতির পরিবারের সদস্যরা।মঙ্গলবারই তার বাড়িতে এই প্রশংসাপত্র এসে পৌঁছয়। প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে ডাক বিভাগ মারফত এটি তাদের বাড়িতে এসে পৌঁছেছে। স্বপ্নেও কখনও ভাবেনি যে এমনও হতে পারে। বাবা অবিনাশ শর্মা জানান ভবিষ্যতে তার সন্তানরা অনেক উন্নতি করবে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুপ্রেরণা থেকে।
অন্যদিকে, চিঠি এসে পৌঁছেছে চন্দননগরের আইটি সেক্টরে কর্মরত দীপ্তনু মুখোপাধ্যায়ের কাছেও। রিষড়ার জনসভায় প্রধানমন্ত্রী দীপ্তনুর হাতে আঁকা উপহারের ছবি নিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর চিঠি আপ্লুত তিনিও। বললেন, “আমি ভাবতেও পারিনি এই চিঠি আসবে। প্রধানমন্ত্রীর আদর্শে অনুপ্রাণিত। তাই তিনি যখন এসেছিলেন, তাঁকে উপহার দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করি। ওঁ সাদরে তা গ্রহণও করেন।”