হাওড়া: টানা বৃষ্টিতে ধস নামল বালি সেতুতে (Bali Bridge) ওঠার রাস্তায়। বিষয়টি নজরে আসতেই তড়িঘড়ি মেরামতির কাজ শুরু করে পূর্ত দফতর। এই সেতুতে রেল ও সড়ক পথ রয়েছে।
সূত্রের খবর, টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে দক্ষিণেশ্বরের দিক থেকে ব্রিজে ওঠার রাস্তার বাঁ দিকে প্রায় ১০০ মিটার অংশে নিচের মাটি সরে যায়। মঙ্গলবার বিষয়টি নজরে আসে ডানলপ ট্রাফিক গার্ড ও পূর্ত দফতরের। তারপরেই বুধবার থেকে কাজ শুরু হয়েছে।
জানা গিয়েছে, অস্থায়ী ভিত্তিতে ওই ধস নামা অংশে শাল খুঁটি পুঁতে তার মাঝে সাদা বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে। পূর্ত দফতরের কর্মীরা জানাচ্ছেন, বৃষ্টির জল স্রোতের মত কংক্রিটের রাস্তার উপর দিয়ে বয়ে নিচে পড়েছে। তাতেই মাটি আলগা হয়েছে।
পুলিশের তরফে ওই অংশ ঘিরে দেওয়া হয়েছে। পূর্ত কর্মীরা জানাচ্ছেন, বিষয়টি নজরে না এলে যাত্রী বোঝাই বাস যাওয়ার সময় ওই অংশে উল্টে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। অস্থায়ী কাজটি শেষ করতে কয়েক দিন সময় লাগবে বলেই পূর্ত দফতর সূত্রে খবর।
ঘন ঘন দুর্যোগ। কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় জল যন্ত্রণার ছবি দেখা যাচ্ছে বার বার। রোদ উঠলে জল নেমে যাবে ঠিকই। কিন্তু কিছুদিনের ব্যবধানে লাগাতার বৃষ্টি ও জল জমে থাকার ঘটনায় অশনি সঙ্কেত দেখছেন আবহবিদরা। তাঁদের কথায়, এর জেরে কলকাতা-সহ দুর্যোগপ্রবণ জেলাগুলিতে বিপদ বাড়বে।
তাঁদের বক্তব্য, এই বৃষ্টির জল ধীরে ধীরে ঢুকছে মাটির তলায়। যে সমস্ত জায়গায় ঝুরঝুরে মাটি, সেখানে রোদ পড়ে তা শুকোলেই মাটির বাঁধন আরও আলগা হয়ে পড়বে। ফলে ধস নামার একটা বড় সম্ভাবনা তৈরি হতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে যে লাগাতার বৃষ্টির কারণে শহর কলকাতা-সহ বিভিন্ন জায়গায় দুই থেকে তিন দিনের জন্য বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যাচ্ছে। আবহবিদরা মনে করছেন এর জেরে ধসের সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। বালি ব্রিজের কাছে যে ঘটনা, তাও অতি বৃষ্টির কারনেই। অর্থাৎ নিয়মিত টানা বৃষ্টি যে বঙ্গের বরাতে একের পর এক বিপদ লিখছে তা বলাই বাহুল্য।
আরও পড়ুন: Suvendu Adhikari-র ২২ বছর পুরনো পুজোর অনুমতি ‘বাতিল’! নজিরবিহীন পদক্ষেপ আদালতের