Extramarital affair: ‘মেরা জান খতরে মে হ্যায়’ জানিয়ে স্ত্রীকে ম্যাসেজ, পরকীয়া সম্পর্কের চরম মূল্য দিলেন হাওড়ার ব্যক্তি!
Howrah: গত এক সপ্তাহ নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
লিলুয়া: প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হল ব্যক্তির মৃতদেহ। তবে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থাকায় ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে বলেই মনে করছে পুলিশ। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
মৃতের নাম বুদ্ধেশ্বর সাউ। হাওড়ার লিলুয়া দাসপাড়ায় থাকতেন তিনি। গত বুধবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন। তারপর মৃতদেহ উদ্ধার হয় ঝাড়খণ্ডের তোপচাচি এলাকা থেকে। তবে কীভাবে সেখানে বুদ্ধেশ্বরের দেহ উদ্ধার হল তা নিয়ে রীতিমত ধন্ধ তৈরি হয়েছে।
এদিকে, মৃতের পরিবারের সাফ-সাফ অভিযোগ বুদ্ধেশ্বর সাউকে তার পরিচিতরা খুন করেছে। সেক্ষেত্রে উঠে এসেছে বুদ্ধেশ্বরের পরকিয়ার সম্পর্কও। জানা গিয়েছে, লিলুয়া ভট্টনগরের বাসিন্দা বিশ্বনাথ সাউয়ের স্ত্রীর কুসুম দেবীর সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক ছিলো বুদ্ধেশ্বরের। যা নিয়ে সংসারে দীর্ঘদিন অশান্তি চলছিল।
মৃতের স্ত্রী জানান, গত বুধবার বাপের বাড়িতে ছিলেন তিনি। সেইদিন রাতে একটি অডিও ম্যাসেজ আসে তাঁর মোবাইলে। ম্যাসেজে তাঁর স্বামী জানান, “মেরা জান খতরে মে হ্যায়।”এরপর থেকে আর যোগাযোগ করা যায়নি। তিনদিন আগে তিনি লিলুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এরপর তদন্তে নামে পুলিশ। জানা যায়, বুদ্ধেশ্বরকে গাড়ি করে উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছিল বিশ্বনাথ সাউ ও তাঁর দুই আত্মীয় পঙ্কজ সাউ ও সুনীল সাউ। তাঁদেরকে হাওড়া থেকে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। ধৃতেরা তাদের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। জানা গিয়েছে, গাড়ির মধ্যেই শ্বাসরোধ করে বুদ্ধেশ্বরকে খুন করে ঝাড়খণ্ডে তোপচাচিতে নির্জন এলাকায় ফেলে দিয়ে আসে আততায়ীরা। সেখানকার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে। ধৃতদের আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: Police: যুবককে রাস্তায় ফেলে একের পর এক লাথি, ঘুষি! এ কেমন রূপ পুলিশের?