Howrah Kidnapping: ভাইপোকে অপহরণ কাকার, দিল্লি থেকে উদ্ধার শিশু!
Howrah: অপহৃত ওই শিশুর মা সিমরন দেবাংশী জানান ২০১৬ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারের শিকার হন সিমরন।
হাওড়া: সম্পর্কে ভাইপো। একরত্তি ওই ছোট্ট ছেলেটার সরল বিশ্বাসের পরিণতি যে এত ভয়ঙ্কর হতে পারে তা ভাবতেও পারেননি কেউ। চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে নিজের ভাইপোকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে দিল্লিতে পালিয়ে যান এক ব্যক্তি। অপহৃত শিশুটিকে দিল্লি থেকেই উদ্ধার করে পুলিশ। তবে, মূল অভিযুক্ত এখনও ফেরার।
অপহৃত শিশুকে দিল্লি থেকে উদ্ধার করে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ। অভিযোগ, গত ১৭ ই জানুয়ারি সালকিয়ার বাসিন্দা হৃদয় আগরওয়াল নামে এক সাড়ে তিন বছরের শিশুকে চকলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে বাড়ি থেকে অপহরণ করেন তার কাকা। তারপর তাকে নিয়ে চলে যান দিল্লিতে। এরপর ওই শিশুর মা লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেন মালিপাঁচঘরা থানায়। শিশুর কাকা মণীশ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই অপহরণের মামলা শুরু করে তদন্তে নামে মালিপাঁচঘরা থানার পুলিশ।
হাওড়া স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে শুরু করে শিশুটির কাকার মোবাইল ফোন ট্র্যাক করা হয়। গত ২৫ শে জানুয়ারি এখানকার পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বৃহস্পতিবার দিল্লির ইন্দ্রপুরী থানার সাহায্যে ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। আপাতত তার মায়ের কাছেই নিরাপদে রয়েছে ওই শিশু। এরপর তাকে আদালতে নিয়ে আসা হবে।
অপহৃত ওই শিশুর মা সিমরন দেবাংশী জানান ২০১৬ সালে তাঁর বিয়ে হয়। তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারের শিকার হন সিমরন। আর থাকতে না পেরে সব ছেড়ে ২০২০ সালে হাওড়ায় নিজের বাপের বাড়ি চলে আসেন তিনি। সঙ্গে তিন বছরের ওই পুত্রসন্তান। হৃদয়। গত ১৭ জানুয়ারি হাওড়ায় সিমরনের সঙ্গে দেখা করতে আসেন মণীশ। দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা বলেন। এমনকী হুমকিও দেন বলে অভিযোগ। কিন্তু, সেদিন বিকেল থেকেই আর হৃদয়কে খুঁজে পাননি সিমরন। সঙ্গে সঙ্গে থানায় অভিযোগ করেন। সিমরন নিশ্চিত ছিলেন তাঁর দেওরই হৃদয়কে অপহরণ করেছে।
সিমরন বলেছেন, “আমার দেওর যাওয়ার পর থেকেই ছেলেটাকে খুঁজে পাইনি। ও তো ছোট, ভালমন্দ কতই বা বোঝে! জানব টা কী করে যে তলে তলে এত কীর্তি করেছে আমার দেওর। ওইটুকু ছেলেকে যদি তার কাকা এসে বলে সে তো যাবেই। আমি ভাবতেও পারিনি যে এমন ঘটনাও ঘটতে পারে।”
অবশেষে মালিপাঁচ ঘরা থানার পুলিশের সহযোগিতায় ছেলেকে ফিরে পেয়ে খুশি সিমরন। পুলিশ জানিয়েছে সিমরন ও হৃদয়কে শুক্রবার দিল্লি থেকে কলকাতায় নিয়ে আসবে। সঙ্গে পুলিশের তরফে নিরাপত্তাও দেওয়া হবে। তবে, মূল অভিযুক্ত মণীশ এখনও ফেরার। তাঁঁকে খুঁজছে পুলিশ।