Domjur Mischief Attack: ডোমজুড়ে মদের দোকানে হামলা, বাধা দেওয়ায় কর্মীকে গুলি চালিয়ে পালাল দুষ্কৃতীরা
Howrah: মদ ও টাকা লুঠেই এসেছিল তারা এমনটাই জানা গিয়েছে।
হাওড়া: টাকা ও মদ লুঠের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের। পানসালা লাগোয়া মদের দোকানে হঠাৎ হামলা। চলল একের পর এক গুলি। ঘটনায় গুরুতর জখম দোকানের এক কর্মী।
ঘটনাস্থান হাওড়ার ডোমজুর থানা এলাকার ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের। বৃহস্পতিবার রাত ন’টা নাগাদ ওই মদের দোকানে চলে গুলি। জানা গিয়েছে, চারজন সসস্ত্র দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায় ওই দোকানে। তারা দোকানের টাকা ও মদ লুঠের চেষ্টা করে। দোকানের কর্মীরা বাধা দিলে তাদের লক্ষ করে দু রাউন্ড গুলি চালানো হয় এমনই অভিযোগ। ঘটনায় অভিজিৎ নামে ওই দোকানের একজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। তার হাতে গুলি লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি দোকানের মধ্যেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এদিকে, গুলির আওয়াজ পেয়ে ছুটে আসেন পানশালার অন্যান্য কর্মীরা।
ততক্ষণে চারচাকা গাড়ি নিয়ে এলকা ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর জখম অবস্থায় কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ওই গুলি বিদ্ধ কর্মীকে। এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ডোমজুর থানার পুলিশ। সিসিটিভি ছবি দেখে দুষ্কৃতীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “গতকাল রাত সাড়ে আটটা থেকে নয়টা নাগাদ চারজন দুষ্কৃতী এসে ওই মদের দোকানের ক্যাশবাক্সে হাত দিয়ে টাকা লুঠের চেষ্টা করে। তখন সেখানে দোকানের যিনি কর্মী ছিলেন অভিজিৎ তিনি বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এরপর ওকে ঠেলে ফেলে দেয় দুষ্কৃতীরা। হয়ত মোবাইলে সাইলেন্সার লাগানো ছিল তাই আওয়াজ পাওয়া যায়নি। অভিজিতের উপর গুলি চালায় তারা। এরপর লোক জমা হতেই পালিয়ে যায় তারা। আহত ওই কর্মীকে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।”
প্রসঙ্গত কিছুদিন আগেই পার্শ্ববর্তী সাঁকরাইল থানার অন্তর্গত চুনাভাটি এলাকায় দিনে-দুপুরে মহিলাকে একা পেয়ে ঘরে ঢুকে হাত পা বেঁধে লুটপাট চালায় দুষ্কৃতীরা। মারধরও করা হয় সেই মহিলাকে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অধরা তারা। কোনও কিনারা করা যায়নি। একের পর এক এই ধরনের ঘটনা ঘটছে হাওড়া শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে। এই ধরনের দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব চলছে অহরহ স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সাধারণ মানুষ।