Medical Negligence: ১৪ বছরের টানা লড়াই, প্রসূতি মৃত্যুতে শেষমেশ চিকিৎসক-নার্সিংহোমকে ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ

Medical Negligence: দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলে মামলা।  শুনানি শেষে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণীত হয়। শেষ চিকিৎসক সুনীল চক্রবর্তী ও উলুবেড়িয়া ওই নার্সিংহোমকে  ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।  যদিও জানা গিয়েছে, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

Medical Negligence: ১৪ বছরের টানা লড়াই, প্রসূতি মৃত্যুতে শেষমেশ চিকিৎসক-নার্সিংহোমকে ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
মৃতের স্বামীImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 22, 2024 | 4:13 PM

হাওড়া:  চিকিৎসার গাফিলতিতে প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ একাধিকবার প্রকাশ্যে এসেছে। এবার এহেন অভিযোগে কড়া আদালত।  ভুল চিকিৎসায় প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় উলুবেড়িয়ার একটি নার্সিংহোম  ও চিকিৎসককে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিল হাওড়া জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালত। সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম ও চিকিৎসক সুনীল চক্রবর্তীকে ১২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত।

জানা গিয়েছে,  ২০০৭ সালে উলুবেড়িয়ার অভিরামপুরের বাসিন্দা শান্তি দেঁড়ে স্ত্রী বর্ষালি দেঁড়ে প্রসূতি যন্ত্রনা নিয়ে উলুবেড়িয়ার বাজারপাড়ার ওই নাসিংহোমে ভর্তি হন।  পরিবারের দাবি,  সিজারের কিছু সময় পড় শ্বাসকষ্ট শুরু হয় বর্ষালির। পরিবারের অভিযোগ, সে সময়ে চিকিৎসকদের ডেকেও বিশেষ লাভ হয়নি। তার কিছুক্ষণ পর মৃত্যু হয় বর্ষালির। এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দারস্থ হন ওই গৃহবধূর স্বামী।

দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে চলে মামলা।  শুনানি শেষে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণীত হয়। শেষ চিকিৎসক সুনীল চক্রবর্তী ও উলুবেড়িয়া ওই নার্সিংহোমকে  ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।  যদিও জানা গিয়েছে, এই নির্দেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ।

বর্ষালির স্বামী মামলাকারী শান্তি দেঁড়ে বলেন, “আমি সেদিন নার্সিংহোম নিয়ে গিয়েছিলাম। ওই ডাক্তারবাবু ডিউটিতে ছিলেন। সকালে দেখে চলে যান। বিকাল পাঁচটায় আসেন। তখন আমার স্ত্রীকে ওটিতে ঢোকান। কিছুক্ষণ পর আমাকে জানানো হয় ছেলে হয়েছে। দেখি ডাক্তারবাবু তখন বেরিয়ে গেলেন। নার্সিংহোমের ওপরে হঠাৎ দেখি নার্সরা ছোটাছুটি করছেন। আমি ওপরে গিয়ে দেখি, আমার স্ত্রী বেডে মৃত অবস্থায় পড়ে। ছেলেও নেই।” প্রথমে থানায় অভিযোগ করেছিলেন শান্তি। তারপর কাগজপত্র নিয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরে যান। প্রথম শুনানিতে হেরে যান চিকিৎসক। পরে সেই চিকিৎসক ভবানীভবনে যান। তারপর মামলা আসে হাওড়ায়। দীর্ঘ বছর পর হাওড়া এই ক্ষতিপূরণ ঘোষণা হয়।

অন্যদিকে, ক্রেতা সুরক্ষা অফিসার তমাল চক্রবর্তী বলেন, “২০১৭ সালে একটা রায় হয়েছিল। কিন্তু তাতে কিছু দ্বিমত ছিল। তারপর আবার ন্যাশনাল কমিশন থেকে হাওড়ায় ফিরে আসে। টানা এক মাস শুনানি চলে। তারপর এই নির্দেশ। নার্সিংহোম ও চিকিৎসককে অর্ধেক করে ১২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা দিতে বলা হয়েছে। সেই টাকা বাচ্চার নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে জমা করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।” যদিও এ প্রসঙ্গে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।