Adhir Chowdhury: ‘অধীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নন, হাইকমান্ডের নির্দেশ না মানলে বেরিয়ে যেতে পারেন’, মমতার পাশে থেকে খাড়্গের কড়া বার্তা
Adhir Chowdhury: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করলে বাইরে থেকে সমর্থন করবেন তিনি। তারপরই এমন বার্তা দিলেন মল্লিকার্জুন খাড়্গে।
নয়া দিল্লি: মমতার মুখে ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থনের কথা শোনা গেলেও, রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর লড়াই অব্যহত। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদে পদে আক্রমণ করেছেন ভোট প্রচারের মাঝে। সদ্য অধীরের কেন্দ্র বহরমপুরে ভোট মিটেছে। আর এবার সেই অধীর চৌধুরী প্রসঙ্গে কড়া মন্তব্য শোনা গেল খোদ কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট মল্লিকার্জুন খাড়গের গলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইন্ডিয়া জোটকে সমর্থন করবেন কি না, সে বিষয়ে হাইকমান্ডই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে যেহেতু কংগ্রেস বা সিপিএমের সঙ্গে কোনও জোটে নেই মমতা, তাই তিনি ইন্ডিয়া জোটে থাকছেন কি না, সেই প্রশ্ন ঘুরে-ফিরে এসেছে বারবার। শনিবার সাংবাদিক বৈঠকে সেই প্রশ্নই করা হয়েছিল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে।
প্রশ্নের উত্তরে খাড়্গে বলেন, “উনি জোটে আছেন, এটা নিশ্চিত। আর অধীর চৌধুরী কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার কেউ নয়, সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কংগ্রেস দল আছে, হাইকমান্ড আছে। আমরা যা সিদ্ধান্ত নেব, সেটাই হবে। আমরা যা বলব, সেটাই মানতে হবে। কেউ যদি মানতে না পারে, তাহলে বেরিয়ে যেতে পারে।”
উল্লেখ্য, কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী সম্প্রতি মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসকে যে খতম করবে, আমি তাকে খাতির করব, এটা হতে পারে না। আমার বিরোধিতা কোনও ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে নয়, আমার বিরোধিতা হল নৈতিক বিরোধিতা। তিনি আরও বলেন, “আমি দলের একজন সৈনিক। লড়াই আমি কখনই থামাতে পারি না।”
ভোটের আবহে খাড়্গের এই মন্তব্য যে যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। অধীর শুধুমাত্র প্রদেশ সভাপতিই নন, তিনি বহরমপুর কেন্দ্রের পাঁচবারের সাংসদ। এবারও ওই কেন্দ্র থেকেই ভোটে লড়ছেন তিনি।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি এক জনসভা থেকে মমতা জানিয়েছেন, ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করলে বাইরে থেকে সবরকম সাহায্য করবে তৃণমূল। এই প্রসঙ্গ টেনে এদিন খাড়্গে বলেন, এমনটা আগেও হয়েছে। প্রথম ইউপিএ সরকারে বামেরা যেভাবে বাইরে থেকে সমর্থন জুগিয়েছিলেন, সে কথাও উল্লেখ করেছেন খাড়্গে।