হাওড়া: চলতি বছরেই পুজোর আগে কিংবা পুজোর পরেই হাওড়া ময়দান (Howrah Maidan Metro) থেকে চালু হয়ে যাচ্ছে বহু প্রতীক্ষিত মেট্রো (Metro Rail) পরিষেবা। এদিকে এই স্টেশনে ২০ থেকে ২৫ মিনিট ছাড়া প্রতিটা মেট্রো থেকে প্রায় আড়াই হাজার যাত্রী নামবেন বলে মনে করছে হাওড়া জেলা প্রশাসন। তাই হাওড়া ময়দান চত্বরে এই বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগমে কীভাবে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হবে কিংবা স্টেশন চত্বরে কোথায় পার্কিং থাকবে তা নিয়ে এবার নানা পরিকল্পনা ও সার্ভে শুরু করে দিল হাওড়া জেলা প্রশাসন। এই কাজের জন্য হাওড়া ময়দানে মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শন করলেন হাওড়ার জেলাশাসক মুক্তা আর্য, পুলিশ কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠি, হাওড়া পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী-সহ জেলা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকরা।
পাশাপাশি সোম ও মঙ্গলবার কাজের দিন হাওড়া ময়দান চত্বরে ভিড় এড়াতে মঙ্গলাহাটকে ওই দু’দিনের পরিবর্তে শনি ও রবিবার করা যায় কি না তা নিয়ে শুক্রবার হাওড়া পুরসভায় হাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকও করলেন মুখ্য প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী। জেলা প্রশাসনের তরফে সুজয়বাবু হাট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এই বৈঠক করেন। এই প্রসঙ্গে এদিন সুজয়বাবু বলেন, ‘‘মেট্রো চালু হলে কাজের দিন অতিরিক্ত ভিড় এড়াতেই মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের তরফে ব্যবসায়ীদের কিছু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আলোচনা সদর্থক, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছু হয়নি।’’
সূত্রের খবর, এছাড়াও শ্রী মার্কেটের কাছে মেট্রোর যাত্রীদের জন্য বাইক পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের অনুমান, অনেক যাত্রীই বাইক রেখে মেট্রোয় চাপবেন। তাই এই আলাদা পার্কিংয়ের ভাবনা। একই সঙ্গে শরৎসদন চত্বরকেও পার্কিংয়ের জন্য ব্যবহার করা যায় কি না সেই চিন্তাভাবনা রয়েছে জেলা প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের তরফে আরও জানানো হয়েছে, হাওড়া ময়দান ও বঙ্গবাসী চত্বরে যথাযথ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি এলাকার সৌন্দর্যায়নও করা হবে। প্রয়োজনে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে হাওড়া ময়দান চত্বরের উন্নয়নের জন্য কথা বলা হবে। পুজোর আগেই কয়েক মাসের মধ্যেই এই কাজগুলি শেষ করা হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর।