কলকাতা ও হাওড়া: কুর্মি সম্প্রদায়ের আন্দোলন এখনও অব্যাহত। শুক্রবার আন্দোলনের চতুর্থ দিন। নিজেদের দাবি দাওয়া পূরণের জন্য অনির্দিষ্টকাল ধরে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। আর এবার আদিবাসী সমাজের সেই আন্দোলনের আঁচ এসে পড়েছে শহর কলকাতাতেও। রানি রাসমণিতে এদিন কর্মসূচি রয়েছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের। হাওড়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষরা মিছিল শুরু করেন রানি রাসমণির দিকে। আর এই মিছিলের জেরে কার্যত বিপর্যস্ত রাজপথের পরিবহণ ব্যবস্থা। স্ট্র্যান্ড রোডের উপর বিশাল যানজট তৈরি হয়েছে। সারি সারি থমকে গাড়ি, গতি খুবই শ্লথ। রাস্তায় দীর্ঘ লাইন গাড়ির। শুধু কলকাতাতেই নয়, হাওড়া স্টেশন সংলগ্ন এলাকাতেও একই ছবি। আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া স্টেশন হয়ে রানি রাসমণিতে সভাস্থলের দিকে রওনা দেন।
হাওড়া ব্রিজের উপর দিয়ে আদিবাসী সমাজের একের পর এক মিছিলের জেরে যান চলাচল বার বার ব্যাহত হচ্ছে। যখনই কোনও মিছিল আসছে, তখনই হাওড়া ব্রিজ প্রায় থমকে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই কুর্মি সমাজের আন্দোলনের জেরে বিপর্যস্ত রেল পরিষেবা। সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। রাজ্য ও কেন্দ্র উভয় সরকারের নজরে নিজেদের দাবিদাওয়া তুলে ধরার জন্য নিজেদের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ চলছে মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রামের মতো জেলাগুলির বিস্তীর্ণ এলাকায়। সেখানেও বিক্ষোভের জেরে বিপর্যস্ত হয়েছে যান চলাচল। রাস্তায় সারি সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে পণ্যবাহী গাড়ি।
উল্লেখ্য, এদিন কলকাতা শহরে আদিবাসী সমাজের যে কর্মসূচি রয়েছে, তাতে শুধুমাত্র কুর্মি সমাজের মানুষরাই নন, বিভিন্ন আদিবাসী সমাজের মানুষরা এসে সামিল হয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে আদিবাসী সমাজের প্রতিনিধিরা এসে হাজির হয়েছেন শহরে। হয়রানির শিকার হচ্ছেন নিত্যযাত্রীরাও। তাঁদের বক্তব্য, আদিবাসী সমাজের মানুষরা নিজেদের দাবি দাওয়া অবশ্যই জানান, কিন্তু সাধারণ জনজীবন যেন এর জন্য ব্যাহত না হয়। অফিসের সময়ে যাত্রীদের যাতে হয়রানি না হয়, সেই আবেদন করছেন নিত্যযাত্রীরা।