School Student: জলের মেশিনে হাত দিতেই ছিটকে পড়ল স্কুল ছাত্রী, স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jul 18, 2022 | 8:51 PM

Howrah: আফরিনের বাবা মহম্মদ আয়ুব পেশায় বাস চালক। মেয়ের এই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি।

School Student: জলের মেশিনে হাত দিতেই ছিটকে পড়ল স্কুল ছাত্রী, স্কুলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
হাসপাতালে ভর্তি ছাত্রী। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

হাওড়া: স্কুলের ওয়াটার পিউরিফায়ারে জল ভরতে গিয়েছিল চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। ছিটকে পড়ে মাটিতে। পরে জানা যায়, ইলেকট্রিক শক লেগেছে তার। সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে বাঁকড়া মিশ্রপাড়া প্রাথমিক স্কুলে। সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সন্ধ্যা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা পাওয়া চলে। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হয়। তবে এই ঘটনার পর খুবই ভয় পেয়ে যায় ওই ছাত্রী। তার চোখে মুখে এখনও আতঙ্কের ছাপ। চিকিৎসকদের বক্তব্য, এই ট্রমা কাটাতে কিছুটা সময় লাগবে।

জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম আফরিন পরভিন। ৯ বছর বয়স। বাঁকড়ার পূর্ব ফকিরপাড়ার বাসিন্দা। বাঁকড়া মিশ্রপাড়া প্রাথমিক স্কুলের পড়ুয়া। স্কুল সূত্রে খবর, এদিন স্কুলে ক্লাস চলছিল। সেই সময় সঙ্গে থাকা বোতলের জল শেষ হয়ে যাওয়ায় আফরিন স্কুলের ওয়াটার পিউরিফায়ার থেকে জল ভরতে যায়। সেই সময়ই কোনওভাবে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। জানা গিয়েছে, এই স্কুলের মধ্যেই আবার স্থানীয় পঞ্চায়েতের মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্র বা এমএসকেও রয়েছে। পঞ্চায়েত দফতরের তরফেই ওই জলের মেশিনটি লাগানো হয়েছিল। সেই মেশিনে হাত দিতেই ছিটকে পড়ে মাটিতে। মাথায় চোট লাগে।

যদিও তড়িঘড়ি স্কুলের শিক্ষকরা তাকে তুলে নিয়ে হাওড়া জেলা হাসপাতালে যান। শিশুদের ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় আফরিনকে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হয়। সিটি স্ক্যান থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরিক পরীক্ষাও করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে ততক্ষণে হাসপাতালে পৌঁছন বাড়ির লোকজনও।

আফরিনের বাবা মহম্মদ আয়ুব পেশায় বাস চালক। মেয়ের এই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান তিনি। আয়ুব বলেন, “আমি আজ বাড়িতেই ছিলাম। মেয়ের খবর জানতে পেরেই হাসপাতালে ছুটে এসেছি। ঠিক কী ভাবে ঘটনাটা ঘটেছে জানি না। তবে স্কুলের মধ্যে কেন এমন ঘটনা ঘটল তার তদন্ত হওয়া দরকার। আজ যা হল তাতে তো আমার মেয়ের বড় কোনও ক্ষতিও হয়ে যেতে পারত।”

খবর পেয়ে এদিন দুপুরেই হাসপাতালে যান জেলা প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ ঘোষ। পরে তিনি বলেন, “ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। সিটি স্ক্যান-সহ অন্যান্য পরীক্ষা হয়েছে। তবে এই ঘটনা কেন ঘটল তা খতিয়ে দেখা হবে। স্কুল কেন বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি নিয়মিত পরীক্ষা করে না তাও দেখা হবে।” সূত্রের খবর, এই ঘটনার পরই জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়াররা স্কুলে যান। তাঁরা রিপোর্ট দেবেন। রিপোর্টে স্কুল কর্তৃপক্ষের কোনও গাফিলতি ধরা পড়লে স্কুলের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলে জানান প্রাইমারি স্কুল কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ সাফ জানায়, এ নিয়ে কোনও কথা বলবে না তারা।

Next Article