Howrah : ১২ বছর আগে প্রাণ গিয়েছিল স্বপন কোলের, সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল আন্দুলের সেই কলেজ

TV9 Bangla Digital | Edited By: জয়দীপ দাস

Dec 21, 2022 | 10:23 PM

Howrah : সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান সাঁকরাইল থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কলেজ চত্বরে নামানো হয় র‍্যাফ।

Howrah : ১২ বছর আগে প্রাণ গিয়েছিল স্বপন কোলের, সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল আন্দুলের সেই কলেজ

Follow Us

হাওড়া: ১২ বছর আগে এসএফএই-তৃণমূল ছাত্র (SFI-TMCP Clash) পরিষদের সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল আন্দুলের প্রভু জগৎবন্ধু কলেজর SFI নেতা স্বপন কোলের। এক যুগ পেরিয়ে গেলেও হাওড়াবাসীর মন থেকে এখনও মুছে যায়নি সেই ঘটনার কথা। বুধবার দুপুরে ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল এই কলেজ।  শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে উত্তপ্ত হল ক্যাম্পাস। সূত্রের খবর, ধারালো অস্ত্র, চেন, সাইকেলের চাকায় পাম্প দেওয়ার যন্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে চড়াও হল দুই গোষ্ঠী। সংঘর্ষে আহত দুই শিবিরের অন্তত তিন জন। ইতিমধ্যেই তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংঘর্ষের খবর পেয়েই দ্রুত ঘটনাস্থলে যান সাঁকরাইল থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা। কলেজ চত্বরে নামানো হয় র‍্যাফ। কলেজ বন্ধ করে দিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন পুলিশের কর্তারা। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ইউনিয়ন রুমে পতাকা তোলা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর ছাত্রের মধ্যে ঝামেলা বাধে। পরবর্তীতে তা সংঘর্ষের রূপ নেয়। বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। অভিযোগ, দুই দল ছাত্রের মধ্যে হাতাহাতি চলার সময়ই কলেজে চলে আসে প্রচুর বহিরাগত।ধারালো অস্ত্র ও চেন নিয়ে একদল আরেকদলের উপর চড়াও হয়। তবে কলেজে কোনও বহিরাগত প্রবেশ করেনি বলে দাবি কলেজ কর্তৃপক্ষের। 

সূত্রের খবর, যে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এদিন সংঘর্ষ হয়েছে তাঁরা সাঁকরাইল কেন্দ্রের বিধায়ক প্রিয়া পাল ও দক্ষিণ হাওড়া কেন্দ্রের বিধায়ক নন্দিতা চৌধুরীর অনুগামী।  সংঘর্ষ প্রসঙ্গে কলেজের পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক প্রিয়া পাল বলেন, ‘‘কোনও কারণ ছাড়াই গত কয়েকদিন ধরে দু’দল ছাত্রের মধ্যে গন্ডগোল হচ্ছে। এদিন ইউনিয়ন রুমের একটি বেদি পরিষ্কার করা নিয়ে দুই শিবিরের মধ্যে ঝামেলা হয়েছে। দু’পক্ষ মারামারি করায় দু’পক্ষেরই দু’জন সামান্য আহত হয়েছে। সেরকম বড়সড় কিছু হয়নি। ছাত্ররা নিজেরাই পরে বিষয়টি মিটিয়ে নেয়।” 

সূত্রের খবর, আহতদের মধ্যে দ্বিতীয় বর্ষের শুভম মাঝি নামের এক পড়ুয়ার আঘাত গুরুতর। তাঁকে স্থানীয় হাজী এস টি মল্লিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে, তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া সৈকত নস্কর জানান, আমরা আমাদের ছাত্র সংগঠনের পতাকা লাগাতে গেলে আমাদেরই বহিরাগত তকমা দিয়ে বেশ কিছু বাইরে থেকে আসা ছেলে আমাদের বাধা দেয়। প্রথমে পতাকার পাইপ নিয়ে টানাটানি করতে শুরু করে। এরপর অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। এই প্রসঙ্গে হাওড়া সিটি পুলিশের তরফে পুলিশ কর্তা মাজিদ খান বলেন, “কলেজেরই দুই দল ছাত্রের মধ্যে গন্ডগোল হয়েছে। এ নিয়ে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তবে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির অভিযোগ শুনে সম্পূর্ণ ঘটনা জানতে কলেজে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

Next Article