হাওড়া: রামনবমীর দিনে শিবপুরে অস্ত্র নিয়ে যোগদানের অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করল হাওড়া সিটি পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার রবীন ত্রিপাঠী জানিয়েছেন, ধৃতের নাম আরিয়ান গুপ্তা। অস্ত্র হাতে মিছিলে যোগ দেওয়ার অভিযোগেই গ্রেফতার করা হয়েছে সুমিত সাউয়ের সঙ্গীকে। সালকিয়ার বাসিন্দা সুমিতকে আগেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অস্ত্র নিয়ে মিছিলে যোগদানের অভিযোগে আটক করা হয়েছে আরও একজনকে। তার নাম অবিনাশ যাদব। রামনবমীর মিছিলে অস্ত্র হাতে সুমিতের ছবি মোবাইল ক্যামেরাবন্দি হয় এবং তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই ছবি টুইটও করেন। গোটা ঘটনার তদন্তে নামে হাওড়া সিটি পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দাদের একটি দল বিহারের মুঙ্গের থেকে সুমিতকে গ্রেফতার করে। ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে হাওড়ায় আনা হয়েছে। আজ তাকে হাওড়া আদালতে তোলা হবে। ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন, গন্ডগোল পাকানো, ভাঙচুর ,খুনের চেষ্টা, মারধর, জনজীবনে শান্তি নষ্ট, সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা সহ একাধিক ধারায় পুলিশ মামলা শুরু করেছে।
হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনার রবীন ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা মুঙ্গের থেকে সুমিত সাউ নামে এক যুবককে গ্রেফতার করি। তাকে অস্ত্র হাতে মিছিলে দেখা গিয়েছিল। মুঙ্গেরে কাশিম বাজার এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে ছিল। তাকে জেরা করার পর আমরা আবার অভিযান চালাই। আরিয়ান গুপ্তা নামে নন্দীবাগানের বন্ধুর কাছে অস্ত্র রেখেছিল। পালানোর আগে অস্ত্র আবার অবিনাশ বলে আরেক বন্ধুকে দিয়ে গিয়েছিল। তবে অস্ত্র উদ্ধার হয় আর এন গুপ্তার কাছ থেকেই।”
তবে এক্ষেত্রে একটি বিষয় উল্লেখ্য, সুমিতের কাছে যে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে, তা নকল, অর্থাৎ সুমিতের মায়ের কথায়, তা ‘খেলনা পিস্তল’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। সেই একই দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। বুধবার রিষড়ায় গিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় দাবি করেছেন, “যে খেলনা বন্দুক নিয়ে এসেছিল, মুঙ্গের থেকে তাকেও গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ আসল অপরাধীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।” শিবপুর কাণ্ডে এখনও চলছে জলঘোলা।