হাওড়া: আদালতের অনুমতি নিয়ে শুরু হয়েছিল চাকরি প্রার্থীদের লং মার্চ। তবে এরপরও পদে-পদে পুলিশি বাধা পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন চাকরি প্রার্থীরা। বুধবার হাওড়া থেকে মিছিল শুরু কথা ছিল গ্রুপ-ডি চাকরিপ্রার্থীদের। অভিযোগ, আদালতের অনুমতি থাকার পরও তাঁদের আটক করছে পুলিশ। রাতভর যে আশ্রমে চাকরি প্রার্থীরা আশ্রয় নিয়েছিলেন, এ দিন ভোর ৫টা থেকে সেই আশ্রমের সামনে থেকেই আটক করতে শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী পুলিশের হাতে আটক হয়েছে। সারা রাত ধরে চলছে পুলিশ পিকেটিং।
রণ সরকার নামে এক চাকরি প্রার্থী বলেন, “আমরা রাতভর একটি আশ্রমে ছিলাম। আজ হাওড়া থেকে মিছিল শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ভোর হতে না হতেই পুলিশ আমাদের পাকড়াও করতে শুরু করে। আদালতের অনুমতি থাকার পরও কেন ওরা ধরপাকড় করল আমাদের?”
প্রসঙ্গত, এর আগে হাওড়ার বাগনানে গ্রুপ-ডি চাকরি প্রার্থীদের আটকায় পুলিশ। মঙ্গলবার সকালে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাকরি প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি শুরু হয়। এদিন সকালে চাকরি প্রার্থীরা হাওড়া জেলার বাগনানের আমতা মোড় থেকে তাদের দ্বিতীয় দিনের মিছিল শুরু করে। বাগনানের জোকা নিমতলার কাছে আগে থেকেই প্রচুর পুলিশ মোতায়ন ছিল। চাকরি প্রার্থীদের মিছিল সেখানে পৌঁছাতেই পুলিশ তাদের এগোতে বাধা দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে চাকরি প্রার্থীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
মূলত, চাকরির দাবিতে নজিরবিহীন প্রতিবাদে নেমেছেন চাকরিপ্রার্থীদের। গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগের দাবিতে অবস্থান, অনশনের পর এবার লং মার্চ করছেন তাঁরা। তিনদিন ধরে রাস্তায় হাঁটবেন চাকরিপ্রার্থীরা। ২০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে নিয়োগের দাবিতে অবস্থান করেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, অবস্থানে বসার পরও রাজ্য সরকারের নজর পড়েনি তাঁদের দিকে। তাই পথে নামতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। আজ শেষ দিন এই কর্মসূচির।