Howrah Death: ভাড়ার জন্য গিয়েছিলেন, পরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার টোটো-চালকের দেহ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jan 05, 2023 | 9:12 AM

Howrah Death: এরপর সকাল ১০ টা নাগাদ আমতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপর থেকেই টোটো চালক শেখ আবদুর রহিমের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।

Howrah Death: ভাড়ার জন্য গিয়েছিলেন, পরে অর্ধনগ্ন অবস্থায় উদ্ধার টোটো-চালকের দেহ
টোটো-চালকের মৃতদেহ উদ্ধার (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

হাওড়া: একদিন থেকে নিখোঁজ। হন্যে হয়েও খোঁজ মেলেনি বাড়ি ছেলের। তারপরই এল মর্মান্তিক খবর। উদ্ধার হল ওই ব্যক্তির মৃতদেহ। বুধবার বিকেলে মৃতদেহ রাস্তায় রেখে রীতিমত পথ অবরোধ করা হয়।

জগৎবল্লভপুরের চাঁদনি মোড়ের ঘটনা। মৃতের নাম শেখ আবদুল রহিম। জানা গিয়েছে, গতকাল থেকেই নিখোঁজ ছিলেন ওই টোটো চালক। একদিন পর মৃতদেহ উদ্ধার হতেই বিকেলে মৃতের দেহ রাস্তায় রেখে অবরোধ হয়। পরিবারের দাবি ওই ব্যক্তিকে খুন করা হয়েছে। দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশি আশ্বাসে অবরোধ ওঠে।

জগৎবল্লভপুরের হাবলা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আবদুল রহিম। গতকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন। সকাল সাড়ে নটা নাগাদ পেশায় টোটো চালক শেখ রহিম গতকাল মুন্সিরহাট টোটো স্ট্যান্ডে যান। এরপর থেকে তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। আজ আমতার চন্দ্রপুর এলাকায় একটি নয়ানজুলি থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।

প্যান্ট পরে থাকলেও তাঁর গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। শেখ সাহেব নামে এক আত্মীয় অভিযোগ করেন টোটো ছিনতাই করার জন্য রহিমকে খুন করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, পরিবারের লোকজনকে রহিম ফোন করে জানান, আমতায় ভাড়া যাওয়ার কথা। দু’জন ব্যক্তি তাঁকে ৩৫০ টাকার বিনিময়ে আমতায় ভাড়া যাওয়ার কথা বলে টোটো ভাড়া করেন।

এরপর সকাল ১০ টা নাগাদ আমতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। তারপর থেকেই টোটো চালক শেখ আবদুর রহিমের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। দুপুর বেলায় পরিবারের লোকজন তাঁর মোবাইলে ফোন করেন বাড়িতে খেতে আসার জন্য। কিন্তু ফোনের কোনও উত্তর পাননি। এরপর সন্ধ্যেবেলায় পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ না পাওয়ায় পরিবারের লোকজন জগৎবল্লভপুর থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। জগৎবল্লভপুর ছাড়াও ডোমজুড়, আমতা এবং উদয়নারায়ণপুরে পরিবারের লোকজন গভীর রাত পর্যন্ত খোঁজাখুঁজি করেন।

কিন্তু তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরপর বুধবার আমতার চন্দ্রপুরে দেহ উদ্ধারের পর  রহিমের পরিবারের লোকজন ওই দেহ সনাক্ত করেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে অভিযোগ। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ওই টোটো চালকের স্ত্রী সাকিনা বেগমের অভিযোগ, ছিনতাই করার সময় বাধা দেওয়ায় তাকে খুন করা হয়েছে। তার টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোনের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Next Article