হাওড়া: উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী (TMC MLA Goutam Choudhury) এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে দলীয় নেতা-কর্মীদের ডাক্তারখানায় ওষুধের কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে তুলনা করলেন। বিধায়ক বললেন, “মনে রাখবেন, আমরা ডাক্তারখানায় ওষুধের কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ। কোম্পানির নাম হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। আমাদের ব্র্যান্ড হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।” দলের ও দলনেত্রীর স্তুতি করতে গিয়ে বিধায়কের এই মন্তব্য ঘিরে ইতিমধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে।
তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্যে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রায় খোঁচা দিয়ে বলেন, “আমরা আগেই বার বার বলেছি, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গে একটা পাবলিক লিমিটেড কোম্পানির মতো চলছে। শুভেন্দু অধিকারী বার বার বলেছেন, তৃণমূল একটি পার্টি নয়, কোম্পানি। সেই পার্টির মালিক হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিরেক্টর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ সেই কথাটাকেই স্বীকার করেছেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। এবার পশ্চিমবঙ্গের মানুষ ভাল করেই বুঝতে পারছেন, তৃণমূল একটি গণতান্ত্রিক দল নাকি একটি কোম্পানি।”
এদিকে দলের বিধায়কের এই মন্তব্যের পর ইতিমধ্যেই তাঁকে সতর্ক করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল কংগ্রেসের হাওড়া জেলা সদর সভাপতি কল্যাণ ঘোষ জানিয়েছেন, “তৃণমূল কংগ্রেস তৈরি হয়েছিল তৃণমূল স্তর থেকেই। তার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আমাদের কাছে আবেগ, প্রেরণা। বাংলায় সিপিএমকে উৎখাত করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে লড়াই করেছিলেন, আমরা শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে সেই লড়াই লড়েছিলাম এবং ২০১১ সালে ক্ষমতা এসেছি। বর্তমানে আমাদের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সেনাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বে আমরা লড়াই করছি। উত্তর হাওড়ার বিধায়ক ভুল বশত কথাটি বলেছেন। আসলে তিনি নিজের মনের আবেগের বদলে ওই কথাটি ব্যবহার করে ফেলেছেন।”
সঙ্গে সাংগঠনিক জেলা সভাপতির আরও জানান, বিধায়ক বিষয়টি নিয়ে ভুল স্বীকার করেছেন। তাঁর সঙ্গে জেলা নেতৃত্ব ও রাজ্য নেতৃত্বের বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে বলেও জানান কল্যাণবাবু। আগামী দিনে কোনও প্ররোচনায় পা দিয়ে বিধায়ক যাতে এই ধরনের কথা না বলেন, সেই বিষয়ে তাঁকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।