Uluberia News: কে হবেন এলাকার ‘রাজা’ ? দুই তৃণমূল নেতার লড়াইয়ে উত্তপ্ত উলুবেড়িয়া
Uluberia: ওই এলাকায় একটি দোকানঘর অবস্থিত। ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকার প্রধানের স্বামী তথা ঐ অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি আজিজুল মল্লিকের লোকজন ওই দোকানটি দখল করতে যান। অভিযোগ, বুলডোজার দিয়ে সেটি ভেঙেও দেয়। তাদের সেই কাজে বাধা দেন ভাটোরা পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূলের নেতা নঈম মল্লিক। সেই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
উলুবেরিয়া: দোকানঘরের দখলকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা। দুই তৃণমূল প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল নেতাকে মারধরের অভিযোগ অপর প্রধানের স্বামী তথা ওই এলাকার তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকায়।
ওই এলাকায় একটি দোকানঘর অবস্থিত। ঘোড়াবেড়িয়া চিৎনান এলাকার প্রধানের স্বামী তথা ওই অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি আজিজুল মল্লিকের লোকজন ওই দোকানটি দখল করতে যান। অভিযোগ, বুলডোজার দিয়ে সেটি ভেঙেও দেয়। তাদের সেই কাজে বাধা দেন ভাটোরা পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী তথা এলাকার তৃণমূলের নেতা নঈম মল্লিক। সেই নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।
অভিযোগ, সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ যখন সে দলের মিছিল সেরে বাড়ি ফিরছিলেন নঈম মল্লিক। কুলিয়া ঘাটের কাছে তাঁর এবং তাঁর অনুগামীদের উপর হামলা চালায় আজিজুল মল্লিক ও তাঁর লোকজন। বেধড়ক মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এরই প্রতিবাদে দুপুরে ভাটোটা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য, প্রধান সহ এলাকার লোকজন। নঈম মল্লিক বলেছেন, “আজিজুল মল্লিক অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা হলেও ভাটোরা পঞ্চায়েতের দখল নিতে চাইছে। সেই কারণে জোর করে এই দোকান ঘর দখল করতে এসেছিল। সেই কাজে বাধা পেয়েই আমাকে মারধর করেছে।”
এলাকার স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তাঁদের বিভিন্নভাবে ভয় দেখায় আজিজুল মল্লিক। ভাটোরার প্রধান উপপ্রধান সহ অন্যান্য সদস্যদের দাবি, বিষয়টি তারা উচ্চতর নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। তারা কোনও রকম পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে কয়েকদিনের মধ্যেই পঞ্চায়েতের ১৪ জন সদস্য পদত্যাগ করবেন। অন্যদিকে আজিজুল মল্লিক নিজের উপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, “এটি অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। এর সঙ্গে আমার কোনও যোগ নেই। যেহেতু গোটা এই মানুষের কাছে আমার বিশ্বাসযোগ্যতা রয়েছে। আমাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।”