Died: হঠাৎই অদ্ভুত শব্দ, ছিটকে পড়লেন যুবক! মেলাতে যাওয়াই কাল হল…

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 24, 2023 | 6:48 AM

Howrah: স্থানীয় সূত্রে খবর, জয়পুর থানার বিনলা গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে সোমবার ছোট্ট একটি মেলা বসেছিল।

Died: হঠাৎই অদ্ভুত শব্দ, ছিটকে পড়লেন যুবক! মেলাতে যাওয়াই কাল হল...
মেলায় সেজে উঠেছে দোকান।

Follow Us

হাওড়া: এখন মফস্বল হোক বা শহুরে মেলা (Mela), সব জায়গাতেই বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য নানারকমের দোলনা, জাম্পিং জ়োনের ব্যবস্থা থাকে। এইসব জাম্পিং গ্রাউন্ডে গিয়ে লাফালাফি করে খুদের দল। এক মেলায় এরকমই জাম্পিং টিউব বসাতে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল এক যুবকের। বিদ্যুতের তার জড়িয়ে মৃত্যু হল তাঁর। সোমবার আমতার জয়পুরে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ওই যুবকের নাম মানস মণ্ডল। ৩৪ বছর বয়স তাঁর। আমতা থানারই পাত্রপোল এলাকার বাসিন্দা ছিলেন তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, জয়পুর থানার বিনলা গ্রামে কালীপুজো উপলক্ষে সোমবার ছোট্ট একটি মেলা বসেছিল। সেখানেই শিশুদের বিনোদনের জাম্পিং জ়োন বসাতে গিয়ে বিপদ ঘটে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহাকুমা হাসপাতাল পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।

পুজো উদ্যোক্তারা জানান, প্রতি বছরই এই কালীপুজো হয় এলাকায়। এই পুজোকে ঘিরে নানা অনুষ্ঠান, অন্নকূট সবই হয়। পুজোর দিন আশেপাশের লোকজনই ছোটখাটো দোকান দেন। কেউ বিক্রি করেন ফুচকা, ঘুগনি, কেউ বিক্রি করেন বাচ্চাদের খেলনা। সে অর্থে খুব বড় মেলা নয়। তবে নয় নয় করে ৯ বছর হয়ে গেল এই মেলার।

সৌমেন্দ্রনাথ কোলে নামে এক উদ্যোক্তার কথায়, “মানস এই পুজোর কথা জানতে পেরে রবিবার ফোন করেন। বেলা ১২টা নাগাদ ফোন করে বলেন বাচ্চাদের জাম্পিং জ়োন করবেন এখানে। আমাদের চাষের জমির মাঠ। তার অল্প জায়গায় পুজো হয়। আমরা বললাম এই জায়গায় যদি আপনার হয়ে যায়, আসুন। উনিও রাজি হন। আমরা বলেছিলাম দিনেরবেলা ওটা বসিয়ে যেতে। উনি বললেন বিকেলের পর এসে বসাবেন। তারপর আমরা নানা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। উনি সাড়ে ৫টা নাগাদ এসে তাড়াহুড়ো করে ওই জিনিসপত্র ঠিকঠাক করছিলেন। হঠাৎই বিকট শব্দ হয়। উনি মাটিতে পড়ে যান। ওনার যিনি সঙ্গী ছিলেন, দেখতে পেয়ে জল ঢালেন। আমাদের পুজো কমিটির সদস্যরাও ছুটে আসেন। খবর পেয়ে তুলে নিয়ে হাসপাতালে পাঠান।”

হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে জানান, পালস পাওয়া যাচ্ছে না। হেমন্ত কোলে নামে আরেক উদ্যোক্তার কথায়, “ডাক্তারবাবু বললেন, আরেকটু দেখি। না হলে বাড়ির লোককে খবর দিতে হবে।” তবে পালস আর পাওয়া যায়নি মানসের। খবর দেওয়া হয় বাড়ির লোকজনকে।

 

Next Article