হাওড়া: শনিবারই হাওড়া থেকে বিপুল নগদ-সহ আটক হন ঝাড়খণ্ডের তিন কংগ্রেস বিধায়ক-সহ পাঁচজন। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার তাঁদের গ্রেফতার করে সিআইডি। এদিন দুপুরে ধৃতদের হাওড়া আদালতে তোলা হলে পাঁচজনের ১০ দিনের সিআইডি হেফাজত হয়। হাওড়ার রানিহাটি থেকে শনিবারই ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার কংগ্রেস বিধায়কের গাড়ি আটক হয়। তাতে বিধায়ক ইরফান আনসারি নিজে ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন আরও দুই বিধায়ক, রাঁচি জেলার খিজরির বিধায়ক রাজেশ কাশ্যপ, সিমদেগা জেলার কোলেবিরার বিধায়ক নমন বিক্সাল কোঙ্গারি। তিনজনকেই আটক করে হাওড়া পুলিশ। সঙ্গে গাড়ির চালক-সহ আরও দু’জনকে ধরা হয়। পাঁচজনকেই রাতে সিআইডির হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই গাড়ি থেকে ৪৯ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩০০ টাকা উদ্ধারের কারণে এই আটক। রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।
সিআইডি সূত্রে খবর, কেন এই বিপুল নগদ টাকা নিয়ে তাঁরা যাচ্ছিলেন, কোথায় যাচ্ছিলেন, কোনও প্রশ্নেরই এখনও সদুত্তর মেলেনি। এরপরই তিন বিধায়ক ইরফান আনসারি, নমন বিক্সাল কোঙ্গারি, রাজেশ কাশ্যপ ছাড়াও গাড়ির চালক চন্দন কুমার ও ঝাড়খণ্ডের যুব কংগ্রেস নেতা কুমার প্রতীককে গ্রেফতার করে। এদিন হাওড়া আদালতে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এজলাসে প্রায় আড়াই ঘণ্টার উপর সওয়াল জবাবের পর ধৃতদের ১০ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। শনিবার রাতে পাঁচজন আটক হওয়ার পরই আয়কর বিভাগ থেকেও আধিকারিকরাও আসেন। ধৃতদের তাঁরা আলাদাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান বলেই সূত্রের দাবি।
সূত্রের খবর, শনিবার রাতে বিধায়কের গাড়ির সঙ্গে আরও দু’টি গাড়ি ছিল। সেগুলি আগেই বেরিয়ে যায়। প্রশ্ন উঠছে, হাওড়ার বিভিন্ন এন্ট্রি এবং এক্জিট পয়েন্টে নাকা চেকিং চলছিল শনিবার রাতে। তা হলে গাড়িগুলি কি সীমানা পার করতে পেরেছে? নাকি পথ বদলে অন্যত্র গিয়েছে? যদিও পুলিশ আরও দু’টি গাড়ি থাকার কথা অস্বীকার করেছে। সূত্রের খবর, দু’দিন আগে কলকাতায় এসেছিলেন তিন বিধায়ক। তাঁরা গুয়াহাটি বিমানবন্দর থেকে বিমানে দমদমে অবতরণ করেন বলেও সূত্র মারফৎ জানা যাচ্ছে। সিআইডির কাছে বিশেষ সূত্রের খবর ছিল। তারপরই হাওড়া সিটি পুলিশ এবং গ্রামীণ পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ তাঁদের ট্র্যাক করতে থাকে।