হাওড়া: এবার ইডি, সিবিআই নিয়ে সরব হলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সন্ধ্যায় বেলুড়ের ভোটবাগানে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গেল, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি কাকে, কেন ধরছে কোনও হিসাব নেই। আরও কার নাম যে তালিকায় রেখেছে, তাও অননুমেয়। তবে তাঁকে জেলে নিয়ে গেলে সেখানে বসে তিনি ফুটবল শেখাবেন বলেই জানান প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ফুটবলার ও অর্জুন পুরস্কারে সম্মানিত প্রসূন। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ২০২৪ সালে লোকসভা ভোটকে লক্ষ্য করেই এভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে বিরক্ত করার চেষ্টা চলছে বাংলায়। বিজেপির ভূমিকা এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য বলেও মত প্রসূনের। নানাভাবে তৃণমূল নেতাদের হেনস্থা করা হবে, এমনকী তাঁকেও জেলে নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন প্রসূন।
এদিন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি তো অবাক হয়ে যাচ্ছি কার কার নাম আসছে, কীভাবে নাম আসছে, কেন আসছে? আমাকে জেলে নিলে জেলে গিয়েও ফুটবল শেখাব। আরও কাউকে শেখাতে পারব যারা ফুটবল খেলে না। কিন্তু কথা সেটা না। এটা যারা করছে, একেবারে অসভ্য দল। এই দলটাকে ভারতবর্ষ থেকে না তাড়ানো গেলে দেশটা শেষ হয়ে যাবে।”
সম্প্রতি দমদমের সাংসদ সৌগত রায়ের দু’টি মন্তব্য ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়। এক, বিরোধীদের গায়ের চামড়া দিয়ে জুতো তৈরি, দ্বিতীয়টি, বিরোধীদের পিঠে তাল পড়ার নিদান। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রসূন দলের বর্ষীয়ান সাংসদের মন্তব্যকে সমর্থনই জানান। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সৌগতদা বাধ্য হয়েছে। উনি কখনও তো এরকম কথা বলেন না। এত নোংরামি হচ্ছে, বলতে তো হবেই। রাস্তায় চলতে দিচ্ছে না আমাদের। এটার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো দরদার। দিদি ডেকেছেন, মিটিং আছে সামনেই। দিদি বলবেন। আর কাদের সঙ্গে লড়াই করব? যারা হেরে রয়েছেন?”
প্রসঙ্গত, গত মাসেই কামারহাটিতে এক অনুষ্ঠানে গিয়ে সৌগত রায় বলেছিলেন, “যারা আমাদের বেশি নিন্দা করছে, এরপর আমি বলব তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে।” অন্যদিকে গত সপ্তাহেই এক দলীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বলুন আমার কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু ভুল করে এ কথা বলবেন না তৃণমূলের সবাই চোর। তাহলে কিন্তু পিঠে তাল পড়লে দুঃখ করবেন না। আর মমতা ব্যানার্জির নামে কুৎসা করবেন না। আমাদের ছেলেরা কিন্তু রেগে যায়। রেগে গেলে মানুষের মাথার ঠিক থাকে না। কী করবে আমি বলতে পারছি না”