হাওড়া: মেয়েকে স্কুলে পৌঁছে দিতে বেরিয়েছিলেন মা। পথদুর্ঘটনায় (Road Accident) মর্মান্তিক পরিণতির শিকার হলেন ৩৫ বছরের ওই যুবতী। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়ে মেয়ে। তাকে টোটোয় করে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে বেপরোয়া গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল সুপ্রিয়া সাহা নামে ওই যুবতীর। শুক্রবার নিশ্চিন্দা থানা এলাকার সাঁপুইপাড়া ষষ্ঠীতলায় এই ঘটনা ঘটে। সুপ্রিয়ার স্বামী টোটো চালান। স্বামীর টোটোতে চেপেই মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যাচ্ছিলেন তিনি। একটি চার চাকার গাড়ি আচমকাই এসে ধাক্কা মারে টোটোতে। ছিটকে পড়েন মা, বাবা ও মেয়ে। আহত অবস্থায় তিনজনকে বেলুড় স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সুপ্রিয়া সাহার মৃত্যু হয়। এদিকে এই ঘটনার পরই তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল ৭টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে। সুমন সাহা রোজই তাঁর টোটোতে স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে যান। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে ফিরে আসেন সুপ্রিয়া। এদিনও সেইমতোই রওনা দেন তাঁরা। অভিযোগ, পিছন থেকে একটি বাড়ি এসে সুমনের টোটোয় ধাক্কা মারে। এরপরই রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনজন। সুমন সাহা ও তাঁর মেয়েকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি সুপ্রিয়াকে। এদিকে চোখের সামনে মায়ের এমন পরিণতি দেখে চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ ছোট্ট মেয়েটির।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, রাস্তা ছোট। অথচ এরইমধ্যে গাড়ির দাপাদাপি প্রবল। এমনও হয়, দুর্বার গতিতে বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে এই রাস্তা দিয়ে যায়। গাড়ির ভিতরে গমগম করে বাজতে থাকে সাউন্ড বক্স। কেউ কোনও ব্যবস্থাও নেয় না। এদিনও বেপরোয়া যুবকদের গাড়ির ধাক্কাতেই ওই যুবতীর প্রাণ গিয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এই ঘটনায় সাঁপুইপাড়া এলাকায় বেশ কিছুক্ষণ পথ অবরোধ করেন এলাকার লোকজন। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে ঘাতক গাড়ি ও তার চালকের খোঁজে নেমেছে পুলিশ।