হাওড়া: ফেব্রুয়ারি থেকেই শুরু হচ্ছে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জঞ্জালের (Belgachia Dump Site) পাহাড় কাটার কাজ। তার জন্য রাজ্য সরকার ৭০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছে। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের মুক্তি দিতে হাওড়া পুরনিগম জঞ্জালের স্তূপ পরিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। হাওড়া পুরনিগম ও কেএমডিএ-র যৌথ উদ্যোগে আগামী ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই শুরু হচ্ছে জঞ্জালের স্তূপে পরিণত হওয়া দু’টি পাহাড় কাটার কাজ। বৃহস্পতিবার বেলগাছিয়া ভাগাড় এলাকায় হাওড়া সিটি পুলিশ ও লিলুয়া থানার উদ্যোগে বিনামূল্যে একটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের উদ্বোধনে গিয়ে এমনটাই জানান হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণকুমার ত্রিপাঠি। তিনি আরও বলেন, আগামিদিনে আর বেলগাছিয়া ভাগাড় থাকবে না। ফলে এখানকার বাসিন্দাদের আর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতে হবে না।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে এই জঞ্জাল সাফাই করতে। একটি সংস্থাকে দিয়ে এই ভাগাড়ের পাহাড় কাটানোর কাজ শুরু হচ্ছে। কেএমডিএ ওই সংস্থাকে কাজে লাগাচ্ছে। ওই সংস্থা যন্ত্রের মাধ্যমে এই স্তূপ পরিষ্কার করবে। শুধু তাই নয়, এরপর শাক, সবজির মতো পচনশীল বর্জ্য ও প্লাস্টিকের মতো অপচনশীল বর্জ্যকে আলাদা করে চাষিদের এমনকী বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হবে। অর্থাৎ এই বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করা হবে।
হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, বেলগাছিয়ার ভাগাড়ে আর কোনওভাবেই জঞ্জালের স্তূপের পাহাড় হতে দেওয়া হবে না। নোংরার স্তূপ পরিষ্কারের পর বেলগাছিয়া ভাগাড়ের জমিতেই আগামিদিনে বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের কাজ করা হবে। প্রসঙ্গত, বেলগাছিয়া ভাগাড়ে জঞ্জালের স্তূপের দু’টি পাহাড় রয়েছে। একটি লেগাসি ওয়েস্ট (Legacy Waste) ও একটি ফ্রেশ ওয়েস্ট (Fresh Waste)। লেগাসি ওয়েস্ট বা জঞ্জালের স্তূপের পুরোনো পাহাড়টিকেই আগে ভাঙার কাজ শুরু হবে। আগামী ২ থেকে ৩ বছরের মধ্যেই ভাগাড়ে জঞ্জালের স্তূপ পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে আশাবাদী পুর আধিকারিকরা। সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের গাইড লাইন মেনেই হবে এই পরিষ্কারের কাজ। পুরসভা সূত্রে খবর, প্রায় ১৫ লক্ষ মেট্রিক টন জঞ্জাল জমা রয়েছে এই বেলগাছিয়া ভাগাড়ের জঞ্জালের স্তূপে।