হাওড়া: ভোটের দিন হাওড়ায় কোনও মহিলা ভোটকর্মীকে রাখা হচ্ছে না। সোমবার এমনটাই জানাল হাওড়া জেলা প্রশাসন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? জেলা প্রশাসনের বক্তব্য, হাওড়ায় যথেষ্ট সংখ্যক পুরুষ ভোটকর্মী থাকছেন ভোটের দিন। তাই সেদিন কোনও মহিলা ভোট কর্মীকে রাখা হচ্ছে না। তবে গণনার দিন মহিলারা থাকবেন।
এদিকে ভোটের দিন কাজ করবেন বলে, ইতিমধ্যেই বহু মহিলা ভোটের কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা ছিল। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তাঁদের কাছে ইমেল বা ফোন যাচ্ছে। সেখানে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এখানে ভোট কর্মী হিসাবে কোনও মহিলাকে ভোটের দিন কাজে লাগানো হবে না।
হাওড়ার বিভিন্ন সরকারি দফতরের মহিলা কর্মী ও স্কুল শিক্ষিকাদের ভোট কর্মী হিসাবে নিয়োগ করা নিয়ে প্রথম থেকেই একটা আপত্তির সুর শোনা গিয়েছে। শিক্ষক সেল একদিকে যেমন এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরব হয়, একইভাবে শিক্ষিকাদের একাংশও সোচ্চার হন। তাঁদের বক্তব্য ছিল, কাউকে কাউকে চতুর্থ স্তরের ভোট কর্মী হিসাবেও ব্যবহারের কথা ভাবা হয়েছে।
হাওড়া জেলা প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা বলেন, “যথেষ্ট বেশি সংখ্যক পুরুষ ভোটকর্মী ইতিমধ্যেই এ জেলার ভোটের কাজের জন্য নেওয়া হয়েছে। তাই মহিলাদের বাদ রাখা হচ্ছে। তবে গণনার দিন মহিলাকর্মী প্রয়োজন। সেদিন তাঁরা কাজ করবেন।” মঙ্গলবার অর্থাৎ আজ থেকে তার জন্য যে প্রশিক্ষণের দরকার, তা দেওয়াও শুরু হয়ে যাবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, গত পঞ্চায়েত ভোটেও প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ২৫ জন করে মহিলা ভোটকর্মী নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার ভোটদানের দিন তাঁদের অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।