TMC MLA Controversy: ‘পঞ্চায়েতে বিরোধীরা যেন প্রার্থী না দিতে পারে’, ‘আঠারোর স্মৃতি’ ফেরাতে চাইছেন তৃণমূল বিধায়ক? রইল ভিডিয়ো

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

May 01, 2022 | 6:18 PM

Howrah: সূত্রের দাবি, পয়লা বৈশাখের আগের রাতে হাওড়া জগদীশপুরে একটি জনসভা ছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে যান হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ।

Follow Us

হাওড়া: এবার বাক-বিতর্কে হাওড়ার ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক। পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা যেন ভোট না পায়, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের এমনই হুঁশিয়ারির অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে সেখানে কল্যাণ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে। গ্রামপঞ্চায়েতে এই এলাকায় যেন একটাও কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিতে না পারে। যদিও প্রার্থী দেয়ও একটা ভোটও যেন না পায় আপনারা সেদিকে শুধু লক্ষ্য রাখুন।’ এখানেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে এই কথা বলতে পারেন। ভোট মানেই সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ। সেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের যেমন প্রার্থী দেওয়ার অধিকার রয়েছে, তেমনই মানুষের নিজের পছন্দের প্রতিনিধিকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাওয়ারও অধিকার রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল বা দলের প্রতিনিধি তা কিছুতেই কাড়তে পারে না। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের স্মৃতি ফেরাতে চাইছেন?

সে বছর প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। উল্লেখযোগ্য ছিল বীরভূম জেলা পরিষদ। ৪২টি আসনের সবক’টি তৃণমূল দখলে নিয়েছিল। পরবর্তীকালে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “মানুষের রায়টা নেওয়া দরকার। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাকে যে কেন ২০১৮-তে ভুল করেছিলাম। অন্যায় করেছি। ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছি। এ বারে মানুষের রায় নেব। মানুষকে পাশে নিয়েই কাজ করব। সকলকে বলছি, আপনারা পাশে থাকবেন। মানুষ একবার ভুল করে, বারবার নয়।”

সূত্রের দাবি, পয়লা বৈশাখের আগের রাতে হাওড়া জগদীশপুরে একটি জনসভা ছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে যান হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। সেখানকারই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসে। বিধায়কের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বিজেপি নেতা উমেশ রাই জানান, এর আগের পঞ্চায়েত ভোটেও বিরোধী শূন্য করার পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল। এবারও সেই একই পরিকল্পনা নেবে ভাবছে। তবে এবার বিজেপি তার বিরোধিতা করবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম গোটা পশ্চিমবঙ্গে এরকম গণতন্ত্রই চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের কথাকে মান্যতা দিত না। এখন সেই দলের বিধায়করাই প্রকাশ্যে বলে বলে প্রমাণ করে দিচ্ছে আমরা সত্যিই কথাই বলেছি।”

অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ডোমজুড়ের বিধায়ক যেটা বলেছেন তার সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও সম্পর্কই নেই। দলীয় মিটিংয়ে যে কোনও দলই বলবে, যে কোনও ভোট যেন তারা পায়। এমনভাবে মানুষের পাশে থাকুন যাতে অন্য দল প্রার্থী খুঁজে না পায়। প্রার্থী দিতে না পারে। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কী সম্পর্ক? যখন বিজেপি বলে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ুন, তার মানে কি গান্ধী পরিবার থেকে শুরু করে সমস্ত কংগ্রেসির আইকার্ড দেখে দেশ থেকে বের করে দিতে বলে? একদমই না।”

আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya Post: গত এক বছরে তৃণমূলে ‘ড্রেনের জল মিশেছে’, বিতর্কের মুখে পোস্ট মুছলেও জোর চর্চা দেবাংশুর বক্তব্যে

হাওড়া: এবার বাক-বিতর্কে হাওড়ার ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক। পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীরা যেন ভোট না পায়, বিধায়ক কল্যাণ ঘোষের এমনই হুঁশিয়ারির অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা টিভি নাইন বাংলা যাচাই করেনি। তবে সেখানে কল্যাণ ঘোষকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘২০২৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে। গ্রামপঞ্চায়েতে এই এলাকায় যেন একটাও কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিতে না পারে। যদিও প্রার্থী দেয়ও একটা ভোটও যেন না পায় আপনারা সেদিকে শুধু লক্ষ্য রাখুন।’ এখানেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে। একজন জনপ্রতিনিধি কীভাবে এই কথা বলতে পারেন। ভোট মানেই সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ। সেখানে সমস্ত রাজনৈতিক দলের যেমন প্রার্থী দেওয়ার অধিকার রয়েছে, তেমনই মানুষের নিজের পছন্দের প্রতিনিধিকে বেছে নেওয়ার সুযোগ পাওয়ারও অধিকার রয়েছে। কোনও রাজনৈতিক দল বা দলের প্রতিনিধি তা কিছুতেই কাড়তে পারে না। বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক কি ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত ভোটের স্মৃতি ফেরাতে চাইছেন?

সে বছর প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল। উল্লেখযোগ্য ছিল বীরভূম জেলা পরিষদ। ৪২টি আসনের সবক’টি তৃণমূল দখলে নিয়েছিল। পরবর্তীকালে বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “মানুষের রায়টা নেওয়া দরকার। অনেকেই প্রশ্ন করতে পারেন আমাকে যে কেন ২০১৮-তে ভুল করেছিলাম। অন্যায় করেছি। ভয়ঙ্কর অন্যায় করেছি। এ বারে মানুষের রায় নেব। মানুষকে পাশে নিয়েই কাজ করব। সকলকে বলছি, আপনারা পাশে থাকবেন। মানুষ একবার ভুল করে, বারবার নয়।”

সূত্রের দাবি, পয়লা বৈশাখের আগের রাতে হাওড়া জগদীশপুরে একটি জনসভা ছিল। সেখানেই বক্তব্য রাখতে যান হাওড়া সদরের তৃণমূল সভাপতি তথা ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ। সেখানকারই ভিডিয়োটি প্রকাশ্যে আসে। বিধায়কের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বিজেপি নেতা উমেশ রাই জানান, এর আগের পঞ্চায়েত ভোটেও বিরোধী শূন্য করার পরিকল্পনা নিয়েছিল তৃণমূল। এবারও সেই একই পরিকল্পনা নেবে ভাবছে। তবে এবার বিজেপি তার বিরোধিতা করবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা আগেই বলেছিলাম গোটা পশ্চিমবঙ্গে এরকম গণতন্ত্রই চলছে। তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের কথাকে মান্যতা দিত না। এখন সেই দলের বিধায়করাই প্রকাশ্যে বলে বলে প্রমাণ করে দিচ্ছে আমরা সত্যিই কথাই বলেছি।”

অন্যদিকে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “ডোমজুড়ের বিধায়ক যেটা বলেছেন তার সঙ্গে সন্ত্রাসের কোনও সম্পর্কই নেই। দলীয় মিটিংয়ে যে কোনও দলই বলবে, যে কোনও ভোট যেন তারা পায়। এমনভাবে মানুষের পাশে থাকুন যাতে অন্য দল প্রার্থী খুঁজে না পায়। প্রার্থী দিতে না পারে। এর সঙ্গে সন্ত্রাসের কী সম্পর্ক? যখন বিজেপি বলে কংগ্রেসমুক্ত ভারত গড়ুন, তার মানে কি গান্ধী পরিবার থেকে শুরু করে সমস্ত কংগ্রেসির আইকার্ড দেখে দেশ থেকে বের করে দিতে বলে? একদমই না।”

আরও পড়ুন: Debangshu Bhattacharya Post: গত এক বছরে তৃণমূলে ‘ড্রেনের জল মিশেছে’, বিতর্কের মুখে পোস্ট মুছলেও জোর চর্চা দেবাংশুর বক্তব্যে

Next Article