উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়ার সঞ্জীবনী হাসপাতালের এক মহিলা রোগীকে শ্লীলতাহানী করার অভিযোগ। স্বয়ং হাসপাতাল কর্মীর বিরুদ্ধেই এই অভিযোগ উঠল। ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা খবর, দিন দশেক আগে ওই মহিলা রোগী অস্ত্রোপচারের জন্য সঞ্জীবন হাসপাতালে ভর্তি হয়। অভিযোগ, সেই সময় ওই ব্যক্তি মহিলাকে ড্রেসিং করার জন্য গিয়েছিলেন।
কী ঘটেছিল?
কয়েকদিন আগে দোতলা থেকে পড়ে গিয়ে সঞ্জীবনী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন এক মহিলা। তার দু’টো পা আর কোমড় ভেঙে যায়। পরে ওই হাসপাতলেই মহিলার অস্ত্রোপচার করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি সঞ্জীবনী হাসপাতালের কর্মী। বিগত দশ বছর ধরে তিনি ওই হাসপাতালেই কর্মরত। অভিযোগ ফিজিওথেরাপির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় তিন থেকে চার দিন ধরে শ্লীলতাহানি করা হতে থাকে। এরপর ঘটনা বুঝতে পেরে ওই মহিলা তাঁর পরিবারকে জানায়। পরে পরিবার এসে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি নালিশ করে। এরপর কর্তব্যরত নার্সও গোটা ঘটনা স্বীকার করায় মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলেন, “আজ সকালে আমাদের কাছে এক মহিলা রোগীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ আসে। খুব দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমাদের এক হাসপাতালের কর্মী এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত।আর এই বিষয়ে আমাদের হাসপাতাল কোনও রকম সহ্য করবে না। এরপর গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানিয়ে আমরা ওই কর্মীকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। পাশাপাশি তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এছাড়া আমাদের হাসপাতালের যে বিশাখা কমিটি আছে সেখানেও জানানো হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্তের জন্য। এই ধরনের কাজের যে কঠোরতম শাস্তি হওয়া উচিৎ তা আমরা দাবি জানাচ্ছি।”
ওই মহিলার স্বামী জানিয়েছেন, “আমার স্ত্রীকে এই হাসপাতালে দেখাতে এনেছিলাম। সেই সময় ফিজিওথেরাপির নামে আমার স্ত্রীর সঙ্গে শ্লীলতাহানি করা হয়। ঘটনার পর আমি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাই। সঙ্গে-সঙ্গে ওনারা ব্যবস্থা নেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ওর কঠীণ শাস্তির দাবি জানাই।”