শিলিগুড়ি: ভারত-চিন সীমান্তের অদূরে শিলিগুড়িতে (Siliguri) এই প্রথম তিস্তা ফায়ারিং রেঞ্জে হয়ে গেল সর্ববৃহৎ বায়ুসেনা (Indian Air Force) এবং স্থলসেনার যুদ্ধ মহড়া। যেখানে ভারতীয় সেনা (Indian Army) তাদের অত্যাধুনিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। আধুনিক ট্যাঙ্ক থেকে মিসাইল ব্যাটারি সবকিছুই ব্যবহার করা হয়েছে সেই মহড়ায়। পাশাপাশি বায়ুসেনার তরফে ব্যবহার করা হয়েছে অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। বায়ুসেনার নিজেদের স্পেশাল ফোর্স “গড়ুর” এই মহড়ায় নিজেদের কলাকৌশল প্রদর্শন করেছে, যার নাম দেওয়া হয়েছি “ত্রিশক্তি প্রহার”।
সম্প্রতি ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাণা প্রতাপ কলিতা শিলিগুড়ি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। শিলিগুড়ি যে চিনের সবথেকে বেশি নজরে রয়েছে, তা সাংবাদিক বৈঠকে পরিষ্কার করে দিয়েছিলেন ওই সেনাকর্তা। সেই বক্তব্যের কিছুদিনের মধ্যেই এই মহড়া যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সামরিক বিশেষজ্ঞরা।
ওই মহড়ায় যে শুধুমাত্র ভারতীয় স্থলসেনা ও বায়ুসেনা ছিল তাই নয়। দেশের আধা সামরিক বাহিনী এই ধরনের মহড়ায় এই প্রথমবার অংশ নিয়েছিল ভারতীয় সেনার সঙ্গে।
উল্লেখ্য, অরুণাচল-সিকিম সেক্টরে চিন সীমান্ত বরাবর এলাকায় যাবতীয় সামরিক পরিষেবার জন্য ভারতীয় সেনাকে শিলিগুড়ি করিডরের উপরেই নির্ভর করতে হয়। তাই শিলিগুড়ি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে অংশকে চিকেন নেক বলা হয়, সেখানে ভারতীয় সেনার বাড়তি নজরদারি রয়েছে। ওই অংশের পরিকাঠামোগত উন্নত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। বিশেষ করে রাস্তা ও আনুষাঙ্গিক পরিষেবা উন্নত করার হচ্ছে।
গত বছরের শেষের দিকে, ৯ ডিসেম্বর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং সেক্টরে সংঘাত বাঁধে ভারত ও চিনের মধ্যে। তবে ভারতীয় বায়ুসেনা সেখানে চিনা আগ্রাসন ঠেকিয়ে দিতে সমর্থ হয়। ২০২০ সালের পূর্ব লাদাখে গালওয়ান সংঘর্ষের পর ২০২২-এর শেষে ফের সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের সেনা। ঘটনায় দুই তরফের সেনাই আহত হন। জানা গিয়েছে, ভারতের তুলনায় চিনা বাহিনীতে আহতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা কোনও অংশেই আর ঝুঁকি নিতে চাইছে না।