‘উত্তর’-এর মন পেতে মরিয়া মমতা, জলপাইগুড়ির সভায় নজর গোটা পাহাড়ের

Dec 15, 2020 | 2:10 PM

আজ, জলপাইগুড়িতে কর্মিসভা করবেন তিনি। এরপর সভা রয়েছে কোচবিহারেও।

উত্তর-এর মন পেতে মরিয়া মমতা, জলপাইগুড়ির সভায় নজর গোটা পাহাড়ের
ফাইল ছবি

Follow Us

জলপাইগুড়ি: আর ‘উত্তর’ হাতছাড়া করতে চান না তৃণমূল সুপ্রিমো। এমনিতেই শিলিগুড়ির উত্তরকন্যা অভিযানে গিয়ে পুলিসের ‘গুলি’তে রাজবংশী সমাজের সদস্য উলেন রায়ের মৃত্যুকে হাতিয়ার করে জলপাইগুড়ি বিধানসভা এলাকাতেই ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে নিজের ঘর গোছাতে উত্তরবঙ্গে পা রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে নেত্রীর সফর। আজ, জলপাইগুড়িতে কর্মিসভা করবেন তিনি। এরপর সভা রয়েছে কোচবিহারেও।

জঙ্গলমহল তো বটেই, উত্তরবঙ্গেও গত লোকসভা নির্বাচনে সবাইকে চমকে দিয়ে ফল করেছিল বিজেপি। তৃণমূলের একচ্ছত্র দুর্গে থাবা বসিয়েছিল গেরুয়া শিবির। গত বিধানসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ির সাতটা বিধানসভার মধ্যে ৬টিই ছিল তৃণমূলের দখলে। একটিতে জয়ী হয়েছিলেন বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী।

তবে লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ির কেবলমাত্র রাজগঞ্জেই কিছু ভোটে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। বাকি ছ’টিতেই মাথা উঁচু করে দাঁড়ায় বিজেপি। ভোটের ফারাকও ছিল ইর্ষনীয়।  বিজেপির সাংসদ হন চিকিত্সক জয়ন্তকুমার রায়। এবার পাহাড় ও ডুয়ার্সের মাটি কামড়ে ধরতে চাইছে তৃণমূল। এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে তিন বছর পর পাহাড়ে প্রত্যাবর্তন করেছেন বিমল গুরুং। শুধু ফিরে আসাই নয়, তৃণমূলের হাত শক্ত করতে শিবির বদল করেছেন তিনি। যা পাহাড়ের রাজনীতিতে বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। মোর্চার দুই শিবির বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন।

এরই মধ্যে রাজনৈতিক সমীকরণে আরও এক সংযোজন। আদিবাসী বিজেপি নেতা লিওস কুজুরকে তৃণমূলে নিয়ে এসেছেন মলয় ঘটক। সব মিলিয়ে পাহাড়বাসী এখন এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাহাড়ের লড়াই আসলে নেতা নির্বাচনের লড়াই।

তবে সবের মধ্যে বিজেপি আবার হাতিয়ার করেছে উলেন রায়ের মৃত্যুকে। রাজবংশী সমাজের ভোট ঝুলিতে পুড়তে মরিয়া বিজেপি। ভোটব্যাঙ্ক সুদৃঢ় করতে আবার সেই বিষয়টিও মাথায় রেখেছেন নেত্রী। পাহাড়ে এখন টানটান উত্তেজনা। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের কর্মীদের নিয়ে যৌথভাবে সভা করবেন। সূত্রের খবর, মলয় ঘটক ও ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই সভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: এবার মদন মিত্রের নামে পোস্টার পড়ল শহরজুড়ে

১৬ তারিখ কোচবিহারে কর্মিসভা মমতার। সেই সভার দায়িত্বে রয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। বিজেপির মাটিতে জমি পুনরুদ্ধারের ডাক যে দেবেন নেত্রী, তা স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে। সূত্রের খবর, এদিন জলপাইগুড়িতে মূল মঞ্চের দুপাশে দুটি মঞ্চ করা হয়েছে। মূল মঞ্চে নেত্রীর সঙ্গে থাকবেন ৮ জন নেতা। সকাল থেকেই পাহাড়বাসীর মধ্যে এই সভা ঘিরে উত্তেজনা তুঙ্গে। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখছেন নেতা কর্মীরা।

Next Article