জলপাইগুড়ি: মধ্যরাত। আচমকাই বিকট শব্দ কানে আসে বাড়ি মালিকের। একটা আর্তনাদ। কান খাঁড়া করে বাড়ির মালিক বুঝতে পারেন, এই আর্তনাদ কোনও বন্য জন্তুরই হবে। শব্দের উৎস খুঁজতে ঘর থেকে বেরিয়ে কুয়োর দিকে যান তিনি। অন্ধকারে মনে করেন কুয়োয় চিতাবাঘের ছানা পড়ে রয়েছে। শুরু হয় হুড়োহুড়ি! পরে হয় ভ্রান্তিবিলাস! হুলুস্থুলকাণ্ড জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) ধূপগুড়ির মিলপাড়ায়!
মিলপাড়া ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বসাকপাড়ার বাসিন্দা মিঠুন বসাকের বাড়িতে শনিবার রাতে বিপর্যয় ঘটে। আর্তনাদ শুনে কুয়োয় দেখতে যান তিনি। দেখেন ডোরাকাটা কোনও একটা ছোট্ট প্রাণী পড়ে রয়েছে ভিতরে। তিনি মনে করেন চিতাবাঘের ছানা। সেই ভেবে খবর দেন বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডে। খবর যায় ধূপগুড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান রাজেশ কুমার সিংয়ের কাছে। ডাকা হয় দমকলকর্মীদের।
ততক্ষণে সেই প্রাণীকে ঘিরে চরম উত্তেজনা প্রতিবেশীদের মধ্যে। দমকল কর্মীরা গিয়ে জোরাল লাইট জ্বালিয়ে দেখতে পান, ওটা একটি বন বিড়াল। শুরু হয় তাকে কুয়ো থেকে তোলার চেষ্টা। কিন্তু ব্যর্থ হয় দমকল।
আরও পড়ুন: বীরভূমে ‘নিঃসঙ্গ’ শতাব্দীর চারপাশে নেই দলীয় কর্মীদের ভিড়, এড়িয়ে গেলেন বিধায়কও!
সেই সময় স্থানীয় এক যুবক বলরাম ঘোষ দমকল কর্মীদের সঙ্গে হাত লাগান। কুয়োর মধ্যে সেসময় ছটফট করছিল বনবিড়ালটি। চটের বস্তা ওপর ফেলে শেষমেশ উদ্ধার করা হয় বনবিড়ালটিকে। উদ্ধার হয় বনবিড়াল। আর যতক্ষণে এই ‘অপারেশন’ হয়, ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে এসেছে আকাশ।