বিন্নাগুড়ি: বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির ভিতরে ঘাপটি মেরে ছিল বিশাল এক কিং কোবরা। প্রায় ১৩ ফুট লম্বা সাপের সন্ধান মিলল সেনা ছাউনির একটি গ্যারেজের ভিতরে। শনিবার রাতের ওই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় সেনা ছাউনির ভিতরে। সেনা ছাউনির নর্ভ জ়োনে যে গ্যারেজটি থেকে ওই বিশালাকার কিং কোবরাটি পাওয়া গিয়েছে, সেই গ্যারেজটি অনেকদিন ধরেই পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। পরে যখন জওয়ানরা ওই সাপটিকে দেখতে পান, তখন সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের কর্মীদের। খবর পেয়ে বনকর্মীরা সেনা ছাউনিতে গিয়ে সাপটিকে উদ্ধার করেন।
পরে ওই কিং কোবরাটিকে নিয়ে যাওয়া হয় গরুমারা জাতীয় উদ্যানে। বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের রেঞ্জার শুভাশিস রায় জানিয়েছেন, সেখানেই ওই বিশালাকায় সাপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ওই সাপটি কীভাবে বিন্নাগুড়ি সেনা ছাউনির ভিতরে ঢুকে গেল, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। তবে সেনা ছাউনির ওই গ্যারেজটি পরিত্যক্ত থাকায়, নিরিবিলিতে সেখানে সাপটি আশ্রয় নিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।
প্রসঙ্গত, কিং কোবরা সাপ হল বিশ্বের সবথেকে বিষধর সাপগুলির মধ্যে একটি। মারাত্মক বিষ এই সাপের। নিউরোটক্সিক বিষ থাকে কিং কোববার। অর্থাৎ, এই সাপের ছোবল খেলে, তা সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রে আক্রমণ করে এবং খুব দ্রুত তা মৃত্যু ঘটাতে পারে। একটি কিং কোবরার কামড়ে মৃত্যুর হার প্রায় ৭৫ শতাংশ। উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতে এবং বাংলাদেশের বেশ কিছু এলাকায় এই কিং কোবরা সাপের দর্শন পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, এই কিং কোবরা সাপ মূলত অন্যান্য সাপকে খেয়ে বেঁচে থাকে। দাঁড়াশ সাপ বা সমগোত্রীয় কোনও সাপ, এমনকী ছোট আকারের পাইথনও খেয়ে ফেলতে পারে এই সাপ। কখনও কখনও অন্যান্য বিষধর সাপও খেতে দেখা যায় কিং কোবরা সাপকে। নিজের প্রজাতির সাপকেও অনায়াসে খেয়ে নিতে পারে কিং কোবরা। বিন্নাগুড়ির সেনা ছাউনির ভিতরে এমন পেল্লায় আকারের কিং কোবরা উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে।