Jalpaiguri: একদিনেই ২০ জনকে কামড়, পাগলা কুকুরের আতঙ্কে বিনিদ্র রাত কাটছে ময়নাগুড়ির

Nileswar Sanyal | Edited By: জয়দীপ দাস

Jul 26, 2023 | 10:00 PM

Jalpaiguri: মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ২০ জন মানুষকে কামড়েছে কুকুরটি। এর পাশাপাশি প্রচুর গবাদি পশুকেও কামড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।

Jalpaiguri: একদিনেই ২০ জনকে কামড়, পাগলা কুকুরের আতঙ্কে বিনিদ্র রাত কাটছে ময়নাগুড়ির
ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

জলপাইগুড়ি: গোটা এলাকা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে একটাই পাগলা কুকুর (Mad Dog)। একদিনেই কামড়েছে এলাকার ২০ জনকে। গত তিন মাসে সংখ্যাটা পঞ্চাশের বেশি। একইসঙ্গে এলাকার অংসখ্য গবাদি পশুকেও কামড়েছে। আর তাতেই ভয়ে সিঁটিয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ভয়ে যেন ঘর থেকে বের হতেই পারছেন না জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের মধ্য খাগড়াবাড়ি, খুকশিয়া, টেকাটুলি, নীরেন্দ্রপুর-সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষেরা। জানা যাচ্ছে গত ২৪ ঘণ্টায় এলাকার কমপক্ষে ২০ জন বাসিন্দাকে কামড়েছে কুকুরটি। ভিড় বাড়ছে হাসপাতালে। 

জানা গেছে ময়নাগুড়ি ব্লকের মধ্য খাগড়াবাড়ি, খুকশিয়া, টেকাটুলি, নীরেন্দ্র পুর সহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে একটি পাগলা কুকুর ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ওই কুকুরটিই মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় অন্তত ২০ জন মানুষকে কামড়েছে। এর পাশাপাশি প্রচুর গবাদি পশুকেও কামড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের।

কারও ক্ষত গভীর, কারও ক্ষত অগভীর। আহতরা অনেকেই ভর্তি ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে। অনেককে আবার প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে গুরুতর আহতদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। দ্রুত কুকুরটিকে উদ্ধারের জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। কুকুরের কামড় খেয়েছেন এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ শাহী আলম। তিনি বলেন, “আমি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আচমকাই আমার মুখের ওপর কুকুরটি ঝাঁপিয়ে পড়ে।” স্থানীয় বাসিন্দা শিবা সরকার আবার বলছেন, গত কয়েকদিনে তাঁদের পাড়াতেই ৭ জনকে কামড়ে দিয়েছে কুকুরটি। তিনি স্পষ্ট বলছেন, আমরা চাই প্রশাসনের লোকজন কুকুরটাকে ধরে নিয়ে যাক। অন্যদিকে ময়নাগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ শিতেস বর বলছেন, “আমাদের এখানে যাঁরা এসেছেন দ্রুত চিকিৎসা শুরু বয়েছে।জলাতঙ্কর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। যাঁদের আঘাত গুরুতর রয়েছে তাঁদের জলপাইগুড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

 

Next Article