জলপাইগুড়ি: শেষ পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের নানা প্রান্তে নির্দল কাঁটায় বিদ্ধ হয়েছিল শাসক তৃণমূল। ভোটে টিকিট না পেয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা নির্দল প্রার্থী হিসাবে লড়েছিলেন। জিতেও গিয়েছিলেন অনেকে। বোর্ড গঠনের সময় কিছু নির্দল বিক্ষুব্ধদের দলে ফিরিয়ে বোর্ড গঠন করেছিল তৃণমূল। কিছু কর্মী আবার নির্দল হিসেবেই রয়ে গিয়েছিলেন। এবার তাঁদের ঘরে ফেরানো শুরু করল শাসকদল।
শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের মাঝিয়ালি অঞ্চলে তৃণমূল বিধায়ক তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়ের হাত ধরে নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য মাধবী রায় ও তাঁর দুই শতাধিক অনুগামী নিয়ে ফের তৃণমূলে যোগদান করলেন। এদিন যোগদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক তপন ভট্টাচার্য, রাজগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রুপালি দে সরকার, জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ রণবীর মজুমদার, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজগঞ্জ ব্লক সভাপতি অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়, মাঝিয়ালী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুমিত দত্ত সহ অন্যরা।
বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ভুল বোঝাবুঝির কারণে আমাদের কিছু কর্মী সমর্থক নির্দল হয়ে নির্বাচনে লড়াই করেছিলেন। সেই নির্বাচনে জয়লাভও করেন। এখন তাঁর ফের দলে ফিরছেন। দুই শতাধিক কর্মী সমর্থক যোগদান করলেন।
মাধবী রায় বলেন, সেই সময় আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। আমরা লোকসভা নির্বাচনে আগে ফের তৃণমূলে যোগদান করলাম। আমরা এখন তৃণমূলের হয়ে ময়দানে নামব। আমাদের প্রার্থী নির্মল চন্দ্র রায় বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হবেন।
খোঁচা দিতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য নিতাই মণ্ডল বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের সময় খগেশ্বর রায় বলেছিলেন যাঁরা নির্দল হয়ে দলের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করলেন তাঁদের আর কোনওদিন দলে ফেরানো হবে না। কিন্তু, এখন লোকসভা নির্বাচন। তৃণমূল লড়াইয়ের ময়দানে হালে পানি পাচ্ছে না। তাই এখন নির্দলদের হাতে পায়ে ধরে দলে ফেরাচ্ছে। এর থেকে খুব সহজে বোঝা যাচ্ছে এবারে তৃণমূল আরও বেশি ভোটে হারবে।