Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Jalpaiguri: ‘ও আমার…’, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করার আগে সুইসাইড নোটে শিক্ষকের ‘কীর্তি’ ফাঁস করে দিল পৌলমী

Jalpaiguri: জানা যাচ্ছে দেবরাজ বিবাহিত। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। পাশাপাশি তিনি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ।

Jalpaiguri: ‘ও আমার…’, পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করার আগে সুইসাইড নোটে শিক্ষকের ‘কীর্তি’ ফাঁস করে দিল পৌলমী
শোরগোল এলাকায় Image Credit source: TV-9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2024 | 9:29 PM

জলপাইগুড়ি: যুবতীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এক শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে সোমবার বিকেলে জলপাইগুড়ি শহরের আদর পাড়া এলাকায় এক যুবতী সুইসাইড নোট নিখে আত্মহত্যা করে। সুইসাইড নোটে দেখা যায় দেবরাজ তলাপাত্র নামে এক শিক্ষকের নাম। স্পষ্ট লেখা, আমার মৃত্যুর জন্য একমাত্র দায়ী দেবরাজ তলাপাত্র। ও আমার মন নিয়ে খেলেছে, আমার মন ভেঙেছে। ওই সুইসাইড নোটকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। 

জানা যাচ্ছে দেবরাজ বিবাহিত। তাঁর দুই সন্তানও রয়েছে। পাশাপাশি তিনি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করে আদালতে তোলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। সূত্রে খবর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে যাতায়াতের সুবাদে পৌলমী বোস নামে বছর একুশের ওই যুবতীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় দেবরাজের। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে যাতায়াত ছিল। সোমবার নিজের ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে পৌলমী। বর্তমানে সে স্নাতকে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছিল। সঙ্গে চলছিল ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষায় বসার প্রস্তুতিও। পরিবারে দারিদ্রতার ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু, মেধাবী পৌলমীই একদিন চাকরি করে সংসারের হাল ধরবেন,  এ আশা ছিল পরিবারের সকলেরই। কিন্তু, আচমকা মেয়ের এই কাণ্ডে হতবাক সকলেই। শোকের ছায়া এলাকায়। 

মৃতার বাবার প্রবাল বসুও মেয়ের মৃত্যুর জন্য দেবরাজ নামে ওই শিক্ষককেই কাঠগড়ায় তুলছেন। তিনি বলছেন, “আমার মেয়ের মৃত্যুর জন্য দায়ী দেবরাজ। মেয়েকে ফিরে পাব না। কিন্তু ওর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

অপরদিকে তার বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত দেবরাজ তলাপাত্র। তিনি বলেন, “ঠাকুরের কাজকর্ম করতে গিয়ে মেয়েটির পরিবারের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। কিন্তু, এর পিছনে তাঁর কোনও হাত নেই। তিনি নির্দোষ।” 

এদিকে পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলা হয়। তাঁর জামিনের আবদন করা হলেও আদালত তা খারিজ করে দিয়ে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।