Death Sentence: স্ত্রীকে নগ্ন করে এক বিছানায়…স্বামীর পরিণতি ফাঁসি

Nileswar Sanyal | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

Dec 10, 2024 | 10:54 PM

Death Sentence: সরকারি কৌঁসুলি বরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আসামি গোপাল দাস তাঁর স্ত্রীকে খুনের উদ্দেশ্যে নিয়ে বাড়ি থেকে ব্যাগে করে দড়ি, ইট এবং ইলেকট্রিক তার নিয়ে যান। মাঝরাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এরপর দেহ লোপাট করে দেন।

Death Sentence: স্ত্রীকে নগ্ন করে এক বিছানায়...স্বামীর পরিণতি ফাঁসি
দোষীসাব্যস্ত যুবককে ফাঁসির সাজা দিল আদালত

Follow Us

জলপাইগুড়ি: পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীকে খুন। তথ্য প্রমাণ লোপাটে দেহ গায়েব। বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে দোষীসাব্যস্তকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। মঙ্গলবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্টে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বিচারক বিপ্লব রায়।

দোষীসাব্যস্ত যুবকের নাম গোপাল দাস। বাড়ি জলপাইগুড়ির ভক্তিনগর থানা এলাকায়। বছর তিরিশের গোপাল দাস পেশায় প্যান্ডেল শ্রমিক। তাঁর সন্দেহ ছিল, স্ত্রী লতা দাসের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে। এই নিয়ে প্রায়ই অশান্তি হত। সন্দেহের বশে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল তিনি তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। রাগ ও অভিমানে তাঁর স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান। কিছুক্ষণ পর তিনি স্ত্রীর পিছু নিয়ে শ্বশুরবাড়ি যান। রাতে একসঙ্গে সেখানেই ছিলেন। মধ্যরাতে তিনি স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে হাত পা বেঁধে পরনের কাপড় খুলে স্ত্রীর নগ্ন দেহ শ্বশুরবাড়ির সেফটি ট্যাঙ্কে ফেলে দেন। আর জামাকাপড় পাশের বাড়ির কুয়োতে ফেলে দেন। পরবর্তীতে পুলিশের তদন্তে সেই মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

গোপাল দাসের বিরূদ্ধে তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮(এ), ২০১ এবং ৩০২ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। ঘটনায় সরকারি কৌঁসুলি বরেন্দ্রনাথ রায় বলেন, পুলিশের তদন্তে উঠে আসে আসামি গোপাল দাস তাঁর স্ত্রীকে খুনের উদ্দেশ্যে নিয়ে বাড়ি থেকে ব্যাগে করে দড়ি, ইট এবং ইলেকট্রিক তার নিয়ে যান। মাঝরাতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। এরপর দেহ লোপাট করে দেন। এই মামলায় মোট ১৮ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর এদিন বিচারক বিপ্লব রায় মামলাটিকে বিরলের মধ্যে বিরলতম আখ্যা দিয়ে আসামি গোপাল দাসকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন।

 

Next Article