ধূপগুড়ি : উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণবঙ্গ বলে আলাদা কিছু হয় না। সব মিলিয়ে একটাই বাংলা। বিরোধীদের মুখে যখন পৃথক রাজ্যের দাবি মাঝেমধ্যেই শোনা যায়, তখন এই ভাষাতেই তাঁদের জবাব দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার ধূপগুড়ির সভামঞ্চ থেকে অভিষেক বার্তা দিলেন, উত্তরবঙ্গ বলে কিছু হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঁচে থাকতে বাংলাকে ভাগ হতে দেবেন না বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি। ৬ মাসের মধ্যে উত্তরের জেলাগুলিকে উত্তরবঙ্গ বলার প্রবণতা বন্ধ করতে চান তিনি।
কখনও সাংসদ, কখনও বিধায়ক- বিজেপির নেতা-নেত্রীদের মুখে পৃথক রাজ্যের দাবি শোনা গিয়েছে আগেই। কেউ স্পষ্ট ভাষায় আলাদা রাজ্য তৈরির কথা বলেছেন। কেউ আবার উত্তরের জন্য আলাদা ব্যবস্থার কথা বলেছেন। তাঁদের যুক্তি, উন্নয়নের ক্ষেত্রে বঞ্চিত উত্তরের জেলাগুলি। বিরোধীদের সেই দাবির জবাবে এ দিন অভিষেক বলেন, ‘আমার উত্তরবঙ্গ শুনতে ভাল লাগে না।’ তাঁর এই জেলা সফরকে উত্তরবঙ্গ সফর বলতেও রাজি নন অভিষেক। তাঁর বক্তব্য, ব্যারাকপুরে, ডায়মণ্ড হারবারে বা ঝাড়গ্রামে গেলে তো দক্ষিণবঙ্গ বলা হয় না, তাহলে জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের সংগঠনকে নিয়ে যে সভা, তাকে কেন উত্তরবঙ্গের সভা বলা হবে?
কোনও মতেই বাংলা ভাগ হবে না, এমন বার্তা দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘যতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, ততদিন কোনও পৃথক রাজ্য হবে না। আজ থেকে তৃণমূলের অভিধানে উত্তরবঙ্গ বলে কোনও শব্দ থাকবে না। চক্রান্ত করে বাংলা ভাগ করা যাবে না।’ সরাসরি বিজেপির নাম নিয়ে অভিষেক বলেন, ‘কেউ সাহস থাকলে বাংলা ভাগ করে দেখান। কড়ায়-গণ্ডায় জবাব দেব, নাহলে আমার নামও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়।’
বিজেপি সাংসদ জন বারলা প্রথমে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তুলেছিলেন। এ নিয়ে নানা সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছিল বিজেপিকে। পরে অমিত শাহের মঞ্চ থেকেই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য করার দাবি তোলেন একাধিক বিজেপি বিধায়ক। এই ইস্যুতে আগেও শাসক দল বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছে। আর এবার উত্তরে গিয়ে সেই বার্তাই দিলেন অভিষেক।