জলপাইগুড়ি: কিছুদিন আগেই সিবিআই হেফাজতে থাকাকালীন বগটুই-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত লালন শেখের মৃত্যু হয়েছে। তা নিয়ে তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য। আর এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার (Jalpaiguri Correctional Home) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এক বিচারাধীন বন্দিকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন আবাসিকের স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে জেলার পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগও জানিয়েছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত নয় মাস ধরে মাদক সংক্রান্ত একটি মামলায় সংশোধনাগারে রয়েছেন সানি রাজবংশী নামে এক যুবক। বাড়ি জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন মাসকলাইবাড়ি এলাকায়। সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে এই বিষয়ে মুখ খুলতে চায়নি জেল কর্তৃপক্ষ। তবে ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। জেল সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ওই ঘটনায় এক কারারক্ষীকে শোকজ় করেছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
সানি রাজবংশীর স্ত্রী লক্ষ্মী রাজবংশী এদিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সংশোধনাগারের ভিতর থেকে তাঁর কাছে ফোন গিয়েছিল। তাঁকে নাকি জানানো হয়, সানিকে মারধর করা হয়েছে। এমনকী মারধরের চোটে ওই বিচারাধীন বন্দির হাত পা ভেঙে গিয়েছে বলেও তাঁকে ফোনে জানানো হয় বলে দাবি লক্ষ্মী দেবীর। যদিও ওই ফোন সংশোধনাগারের ভিতর থেকে কে করেছিলেন, সেই বিষয়টি জানেন না তিনি। সংশোধনাগারের বাইরে এদিন বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সানি রাজবংশী নামে ওই বিচারাধীন বন্দির পরিবারের সদস্যরা। এমনকী সানিকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর স্ত্রীর।
এদিকে সংশোধনাগার সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সোমবার জেলের ভিতরে পেঁয়াজ এবং অন্যান্য কিছু সব্জি জোগাড় করে নিজেই রান্না করার চেষ্টা করছিল ওই যুবক। সেই ঘটনা দেখতে পেয়ে এক কারারক্ষী তাকে বাধা দেন। আর এরপরই হাতাহাতির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তবে এদিন যখন স্বামীর আহত হওয়ার খবর জানতে পেরে সংশোধনাগারের বাইরে ছুটে আসেন লক্ষ্মী দেবী, তখন তাঁকে সানির সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলেই অভিযোগ। সংবাদ মাধ্যমের সামনে এই নিয়ে ক্ষোভও উগরে দিয়েছেন তিনি। এদিকে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর, ওই বিচারাধীন বন্দিকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের পুলিশ সেলে ভর্তি করা হয়েছে।