Jalpaiguri: ‘গাড়ির কাগজ ছিল তবু পুলিশ টাকা চাইল, রোজ এরকম করে!’ রক্ষকের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক গাড়ির চালক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jan 17, 2022 | 9:33 PM

Jalpaiguri: জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর মোড় এলাকায় একটি পিকআক ভ্যানকে পুলিশ দাঁড় করিয়ে টাকা চায় বলে অভিযোগ।

Jalpaiguri: গাড়ির কাগজ ছিল তবু পুলিশ টাকা চাইল, রোজ এরকম করে! রক্ষকের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক গাড়ির চালক
অভিযোগকারী বাপি ঠাকুর। নিজস্ব চিত্র।

Follow Us

জলপাইগুড়ি: রক্ষকের বিরুদ্ধেই ভক্ষণের অভিযোগ। পুলিশের বিরুদ্ধে টাকা চেয়ে জুলুমবাজির অভিযোগ তুললেন গাড়ির চালকেরা। দিনের পর দিন এই ঘটনা ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ তাঁদের। তারই প্রতিবাদে সোমবার ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি পুলিশের। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পাহাড়পুর মোড় এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে সোমবার তুমুল শোরগোল শুরু হয়।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেলে। জলপাইগুড়ি পাহাড়পুর মোড় এলাকায় একটি পিকআক ভ্যানকে পুলিশ দাঁড় করিয়ে টাকা চায় বলে অভিযোগ। হাইওয়ে ট্রাফিক পুলিশ এই টাকা চায় বলে অভিযোগ করেন গাড়ির চালক। গাড়ির চালকের কথায়, প্রথমে তাঁর কাছে কাগজপত্র দেখতে চান এক কর্তব্যরত পুলিশ। তারপরই টাকা চান। কিন্তু চালক তা না দিয়ে পুলিশের হাত ছাড়িয়ে গাড়ি নিয়ে ছুট লাগান তিস্তা ব্রিজের দিকে।

এরপরই পালিয়ে যাওয়া গাড়িটি ধরতে পুলিশের প্যাট্রল ভ্যান তিস্তা ব্রিজের দিকে যায়। অন্যদিকে ব্রিজের উপর কর্তব্যরত পুলিশদেরও ততক্ষণে জানিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ ভুল করে অন্য একটি গাড়িকে দাঁড় করিয়ে দেয়। এরপরই সেই গাড়ির চালক তিস্তা ব্রিজের কাছে ফোর লেনের একটিতে তাঁর গাড়ি মাঝপথে এনে রেখে দেন। যার ফলে জাতীয় সড়কে যান চলাচল বেশ কিছু সময়ের জন্য বন্ধ হয়ে যায়৷

পরে অন্যান্য পুলিশ কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এরপর ফের শুরু হয় যান চলাচল। তবে টাকা চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ আধিকারিক বলেন, যদি কেউ টাকা নিয়েছে এই ঘটনা প্রমাণ হয় তবে কর্তৃপক্ষ নিশ্চয়ই তার তদন্ত করবে।

গাড়ির চালক বাপি ঠাকুর বলেন, “আমি কাগজ দেখালাম। সবকিছু ঠিক আছে। লাইসেন্স ঠিক আছে। তারপর বলল গাড়ি সাইডে দাঁড় করা। আমাকে এমনভাবে বলছে যেন কাঁচা চিবিয়ে খেয়ে নেবে। গাড়ির পয়সা নেবে বলে আমাকে আটকেছে। কাগজপত্র দেখিয়েও ছাড়ছে না। আমিও ছাড়ার পাত্র নই। গাড়ি সাইডে লাগিয়ে দিয়েছি। আমার সমস্ত কাগজপত্র ঠিক আছে তারপরও এমন জুলুমবাজি কেন মানব? আমি খেটে খাই। গাড়িতে ইট নিয়ে যাচ্ছি। বিহার থেকে ইট নিয়ে রাজারহাট যাচ্ছি। তিস্তা ব্রিজের উপর ধরেছে। এদিকে আমাকে দাঁড় করাতেই পর পর গাড়ি দাঁড়িয়ে গিয়েছে। এইসব পুলিশের দাদাগিরি কেন মানব? রাতের বেলা সবজি গাড়ি নিয়ে যাই ৫০ টাকা, ১০০ টাকা করে লাগে। এই পুলিশেরাই টাকা চায়। সব থানার এক জুলুম। আমরা চাই এটা বন্ধ হোক। আমাদের তো চলাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে এবার।”

অন্যদিকে ট্রাফিকের এএসআই প্রভাস ঠাকুর বলেন, “আমি এসে দেখলাম রাস্তা ব্লক। কী কারণে আটকানো ছিল আমি জানিও না। এসে রাস্তা পরিষ্কার করলাম। শুনলাম ওরা নাকি নিয়ম ভেঙে এসেছিল। প্যাট্রলিং ভ্যান ধাওয়া করে। তাই কোন গাড়ি ভেঙেছে সেটা ধরার জন্য আটকেছিল। পরে দেখা গেল এই গাড়ি না অন্য গাড়ি। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। সেই রাগেই ওই গাড়ির চালক রাস্তাটা একটু জ্যাম করে দেয়।”

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে গাড়ির নম্বর কি পুলিশ দেখেনি? কেন ভুল গাড়িকে আটকানো হল? এ বিষয়ে প্রভাস ঠাকুর বলেন, “খবর পেয়েছে ছোট গাড়ি নিয়ম ভেঙে এসেছে। ফোনে ফোনে জানানোয় আটকানো হয়। পরে দেখা যায় অন্য গাড়ি। টাকা নিয়েছে এমন কোনও ঘটনা বলতে পারছি না। কেউ যদি বলে, প্রমাণ দেখাতে পারে দেখাবে। যদি কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ দেখাতে পারে তা হলে নিশ্চয়ই ব্যবস্থা হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনাই ভুল বোঝাবুঝির জের। খুব সামান্য সময় রাস্তা বন্ধ ছিল। পরে ঠিক হয়ে যায়।

আরও পড়ুন: Fire: ভয়াবহ! দাউ দাউ করে জ্বলছে বাড়ি, ভিতরে দুই সন্তানকে নিয়ে আটকে মা

 

Next Article